নিজস্ব প্রতিনিধি | ঢাকা বোট ক্লাবে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। আমরা এর পুনরাবৃত্তি চাই না। মামলার পর দ্রুত মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্ত শেষে দৃষ্টান্তমূলক আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো পর্যায়ের নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে পুলিশ অত্যন্ত সংবেদনশীল। অনেক ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তড়িৎ অ্যাকশনে যাচ্ছে পুলিশ। যার যে পরিচয় হোক বা যত ক্ষমতাধর হোক, অপরাধ করলে ছাড় নয়। সোমবার রাতে পরীমণির ঘটনায় সমকালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, অভিনেত্রী পরীমণির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করবে পুলিশ। তদন্তে পুরো বিষয়টি উঠে আসবে। এছাড়া ক্লাবের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এরই মধ্যে নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিক অমি ও শাহ আলমকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ক্লাবের পরিচয় ব্যবহার করে কেউ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটাবে- এটা মেনে নেওয়া হবে না। ঢাকার সভ্রান্ত পরিবারের অনেকে এখন ঢাকা বোট ক্লাবের সদস্য। এখন ক্লাবের সদস্য সংখ্যা দুই হাজারের কাছাকাছি। দিন দিন সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকা বোট ক্লাব এরই মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক আরও বলেন, পরীমণির বিষয়টি চারদিন আগে জানলে তখনই পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করত। মামলার জন্য তাকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। পরে আর তিনি যোগাযোগ করেননি। থানা পুলিশও পরীমণির সঙ্গে পরদিন আর কথা বলেনি। অপরাধ দমনের পাশাপাশি যেকোনো নাগরিকের প্রাইভেসিকেও গুরুত্ব দিতে হয়। অনেক সময় আগ বাড়িয়ে কিছু করতে গেলেও প্রশ্ন উঠে পারে- কেন আমরা এত আগ্রহী।
পুলিশ মহাপরিদর্শক আরও বলেন, পুলিশের অনেক পর্যায়ে নারীর প্রতি সংবেদনশীল সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে। পরীমণি আমাকে বিষয়টি জানাতেও পারতেন। ফোন বা খুদে বার্তা পাঠালেও বিষয়টি জানতে পারতাম। আমাদের গুলশানের ডিসি ছিলেন। ডিএমপি কমিশনার ছিলেন। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি পরীমণি।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই পুলিশ পরীমণির সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মামলা নেয়। আসামিরা যাতে পালাতে না পারে সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি। পালিয়ে গেলে আবার অন্য রকম বিতর্ক হত। এই বার্তা আমরা সবাইকে দিতে চাই, পরিচয় যা হোক আর যত ক্ষমতাধর হোক অপরাধ করলে ছাড় নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, সমাজে যারা পরিচিত এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে নানা কৌশলে ছবি তুলে তা নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে একটি দুষ্ট চক্র। কে কার সঙ্গে ছবি তুলল এটা সবসময় দেখা সম্ভব হয় না।