স্টাফ রিপোর্টার।। করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই ছুটির বর্ষপূর্তি হয়েছে আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ)। গত বছরের এইদিনে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর বেশ কয়েকদফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এরপর আর খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তবে চলতি বছরের শুরু থেকে করোনার সংক্রমণ কমতে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, স্কুল-কলেজ খোলা হবে ৩০ মার্চ। সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। এসময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।
তাদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইনও জারি করেছে প্রশাসন। অবশ্য ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিন থাকলেও এদিন পবিত্র শবেবরাতের ছুটি থাকবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলবে আগামী ১৭ মে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে ২৪ মে থেকে। এরইমধ্যে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির দিকে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপতিষ্ঠান খোলার অবস্থা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হচ্ছে পর পর দুই সপ্তাহ সংক্রমণের হার যদি পাঁচ শতাংশের নিচে থাকে। আর আমাদের দেশে সংক্রমণের হার প্রায় ১০ শতাংশ।
তবে এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বছরজুড়ে বন্ধ থাকবে, এটা হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এর মধ্যেই চলতে হবে। সে ক্ষেত্রে জোনভিত্তিক সংক্রমণ পরিস্থিতি পরিসংখ্যান করতে হবে। সংক্রমণের হার কম এসব জায়গার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা উচিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানই এখন স্বাভাবিক চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই আইডল হতে পারে বলে আমি মনে করি। স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ পালনের প্রতি সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে।’ প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়া হলেও করোনার সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খুলবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে কি হবে না- তা যাছাই করে দেখতে মাঠ পর্যায়ের তথ্য নিতে শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।