ঢাকাশনিবার , ২৪ জুলাই ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দুই শতাধিক ছিন্নমূল মানুষকে খাওয়ালেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জুলাই ২৪, ২০২১ ৪:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট।

একটি উঠানে সাঁজানো হয়েছে প্যান্ডেল। আর ভেতর চেয়ার, টেবিল, ফ্যান। বাইরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। আরেক কোনের টেবিলে পান-সুপারি, টিস্যু, মাস্ক। মেন্যুতে পোলাও, মাংস, ডাল, ডিম, মিষ্টি ও কোমলপানীয়। দেখে মনে হতে পারে এটি একটি বিয়ে বাড়ি। এটি কোনো বিয়ের আয়োজন নয়। নয় স্বচ্ছল বা বিত্তবানদের জন্য ঈদোত্তর কোনো অনুষ্ঠান। পুরো আয়োজনটিই ছিল অতি দরিদ্র, অসহায় কিংবা প্রতিবন্ধীদের জন্য। যারা কখনোই এ ধরণের দাওয়াতে সরাসরি অংশ নিতে পারেন নি। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ বাজারের পাশে ঈদুল আযহার স্বেচ্ছাসেবীদের আয়োজনের দাওয়াতে এসেছিলেন দুই শতাধিক জন অতি দরিদ্র, অসহায় কিংবা প্রতিবন্ধী মানুষ। আর এটির আয়োজন করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কয়েকজন যুবক। তারা আয়োজনটির নাম দিয়েছেন ‘ঈদে কষ্ট মানুষের পাশে’। এসময় আসা বয়োবৃদ্ধ, অসহায় অতিথিদের পরম মমতায় খাইয়েছেন। আর পেটপুরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন সেইসব মানুষ। দুই শতাধিক জন অতি দরিদ্র, অসহায় কিংবা প্রতিবন্ধী নিমন্ত্রণ পেয়ে আসা অতিথিরা খাওয়া-দাওয়া শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা বেশিরভাগই জানিয়েছেন, এর আগে কেউ কোনোদিন তাদের এ ধরণের আয়জনে ডাকেননি কিংবা নিমন্ত্রণ জানানি। আমন্ত্রণে আসা অতি দরিদ্র নারী রসনা বেগম বলেন, এর আগে এমন কোথাও খাইনি। আর এভাবে দাওয়াত দেয়নি। তারা যেভাবে আমাদের খাওয়াল মনে হয়েছে আমরা কোন ভিআইপি পরিবারের সন্তান। সমাজের অনেক বড়লোক মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই যুবক ছেলেরা। আল্লাহ তাদের আরও বড় করুক। বৈরাতী থেকে আসা আরেক শুক্কর মিয়া বলেন, বিয়ে বাড়িৎ মুই (আমি) মেলা খাছিং (খাইছি)। কিন্তু কেউ বাহে (বাবা) এ্যানতোন (এভাবে) করি খাওয়ায় নাই। পেট-পুরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছিুং বাহে (বাবা)। প্রতিবছর মুই (আমি) খাওয়ার চাং (চাই)। সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবী আজাদ আলী বলেন, প্রতি ঈদে সবাই কোরবানি দেন। সেই থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবী বাড়িতে থেকে প্রথমে মাংস সংগ্রহ করি। পরে সবাই এগিয়ে এসে কেউ মাংস, ডাল, ডিম, মিষ্টি ও কোমলপানীয় দেন। এভাবে সব কিছু হয়ে যায়। এক কথায় ভালো কাজে আটকে থাকে না। তাই এভাবে যদি সবাই এগিয়ে আসতো তাহলে দেশে কখনো সমস্যা হত না। স্বেচ্ছাসেবী রেফাজ রাঙ্গা বলেন, এবারে সামান্য কিছু লোককে খাওয়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ, কোন লোক না খেয়ে থাকে না। সেই চিন্তা কাজে লাগিয়ে ডাটাবেজ করা হবে। যদি আমাদের মত সমাজের অনেক বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এসব অসহায় পরিবারকে সাহায্য করা আরও সহজ হবে বলে তিনি জানান। আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা সাংবাদিক হায়দার আলী বলেন, প্রতিবারের ঈদ এলেই অতি দরিদ্র মানুষকে সাধ্যমত অনেকেই মাংস দিয়ে দেন। কিন্তু তারা বিত্তবান ব্যক্তিরা যেভাবে বাড়িতে রান্না করে খান তার সেটি পান না। তাই সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত মানুষকে প্যান্ডেল উঠানে সাঁজিয়ে আর ভেতর চেয়ার, টেবিল, ফ্যান দিয়ে অনেকটা বিয়ের বাড়ির মত করে খাওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই আয়োজনে অনেকেই সন্তুষ্ট হয়েছেন। তাই প্রতিবছর এই আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন