মোঃ মামুনুর রশিদ (মিঠু)।। মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর কে কেন্দ্র করে জাঁকজমক ভাবে কেনাকাটা শুরু হয়েছে শহরের বিপণন কেন্দ্র গুলোতে।
ঈদে নতুন জামা কাপড়ের সাথে নতুন জুতা নাহলে কি আর হয়? তাই নামি দামি কোম্পানি গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে বাহারি সব মডেলের জুতা, স্যান্ডেল তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন স্থানিয় পাদুকা শিল্পীরা।
লালমনিরহাট শহরে বড় পরিসরের কোন কারখানা না থাকলেও বেশ কিছু তৈরী জুতার দোকান সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ট্যানারি থেকে আনা জুতা বানানোর প্রক্রিয়াজাতকরণ চামড়া প্রথমে সাইজ মতো কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন সাইজ মতো কাটা হলে তা মেশিনের সাহায্যে ফিনিশিং দেয় কারিগরেরা।
ফিনিশিং দেওয়ার পর পেস্টিং দিয়ে সাইজ মতো ডিজাইন করা হয় ও পুডিং মারা হয়। পেস্টিং দেওয়া শেষে জুতা পুরোপুরি হয়ে গেলে রং স্প্রে করে শুকাতে দেওয়া হয় এবং পরে তা বাজারজাত করা হয়।
মিশোন মোড়ের জুতা ব্যাবসায়ী চরন রবিদাশ বয়স্ক হয়ে গেছেন, মাঝে মাঝে দোকানে বসেন। তার বড় ছেলে শ্রী নেপাল রবিদাশ বলেন, অন্যান্য সময় যে বেচা-কেনা করেছি চলমান লকডাউনের কারনে ঈদের বাজারে তার অর্ধেকটাও হচ্ছে না। গত ঈদেও লকডাউনের মাঝেই হয়েছে। বেচা-কেনা করতে পারিনি। আশা করে অনেক মাল তৈরি করেছি সবিতো পরে আছে। ঈদেরতো আর দেড়ি নাই বেচবো কবে?
লালমনিরহাট শহরের ভোকেশনাল মোড়ের জুতা দোকানি জগদীশ রবিদাশ, আলোরুপা মোড়ের ধনেশ্বর রবিদাশ একই ভাবে হতাশার সুরে বলেন, চামড়জাত পণ্যের দাম বেশি। তাই পোষায় না। আর চায়না জুতা বাজার এমনভাবে দখল করে আছে যে, আমাদের জুতার চাহিদা নেই বললেই চলে। গত ঈদে লকডাউনের কারনে ব্যাবসা করতে পারিনি এবারো তাই, ঈদের আছে এক সপ্তাহ বেচা-কেনার কি হবে উপরআলা জানেন।