ঢাকাসোমবার , ২৯ মে ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে বিডিআরহাটের জায়গায় গোডাউন নির্মাণ!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মে ২৯, ২০২৩ ৬:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাট শহরের বহুল পরিচিত বিডিআরহাট (নবাবেরহাট) এর (সাথী ষ্টোর) গলামাল ব্যবসায়ী কাশেম আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারি হাটের জায়গা দখল করে গোডাউন ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
Add 99998
ফলে স্থানীদের অভিযোগে চলতি বছরের মে মাসে চলমান গোডাউন ঘরের নিমার্ণ কাজ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল আজিজুল ইসলাম তুহিন বন্ধ করে দেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বিডিআর হাটের পশ্চিমে (পাঁচপীর) এর মাজার সংলগ্ন স্থানে কাশেম আলীর ছোট একটি গোডাউন ঘর ছিল। সেই ঘরটি ক্রমে বাড়াতে বাড়াতে কয়েক বছরের ব্যবধানে অনেক বড় গোডাউনে পরিনত করেছেন তিনি। সম্প্রতি মে মাসে ওই গোডাউন ঘরটির সামনের অংশ ভেঙ্গে হাটের দিকে হাটের জায়গা দখলে নিয়ে বড় আকারের গোডাউন ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। হাটের জায়গা দখল করে গোডাউন ঘর নির্মাণ কাজে কেউ বাঁধা দিতে গেলে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনের নাম ব্যবহার করেন তিনি। শর্তে উল্লেখ, ইজারাকৃত জমি হস্তান্তর, প্রকৃতি পরিবর্তন বা সাব লিজ/ভাড়া প্রদান করা যাবে না।

অথচ কাসেম আলী দীর্ঘদিন ধরে বিডিআরহাটের মসজিদের সামনের জায়গায় পাকা ঘর তুলে অনিয়মের মাধ্যমে গলামাল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন আবার (পাঁচপীর) এর মাজার সংলগ্ন স্থানে সেই গোডাউন ঘরের সাথে হাটের জায়গা দখল করে গোডাউন ঘর বড় করছেন।

সরকারি নির্দেশনা ও শর্ত উপেক্ষা করে গোডাউন ঘর নির্মাণ করলেও হাট ইজারাদার ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের তদারকি নেই। প্রশাসনের কড়া নজরদারি না থাকায় প্রতিবছরে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

ব্যবসায়ী কাশেম আলীর ছেলে সুমন বলেন, রিপোর্ট করে কি হবে। আমাদের গোডাউন ঘরের ওই জায়গায় ২ শতক জমি রয়েছে। সেটার উপর মুলত: গোডাউন ঘর তুলেছি। আর হাটের জায়গা যেটুকু পড়েছে, সেটুকু ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল আজিজুল ইসলাম তুহিন বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে হাটের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে হাটের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ্য। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রশাসনের কড়া নজরদারি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, অবশ্যই ওরা আমার নাম ভাঙ্গিয়েছে। আমি বিডিআরহাটের জায়গায় গোডাউন ঘর তোলা বিষয় কিছু জানি না। সরকারের জায়গা অন্যকে দখলের নির্দেশনা দেওয়ার আমি কে। অবৈধভাবে সরকারের জায়গা দখল হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ইউএনও রুবেল রানা বলেন, সরকারি জায়গায় গোডাউন ঘর তোলার প্রশ্নেই আসে না। সীমিত জায়গা ইজারা নিয়ে অতিরিক্ত জায়গা দখল এবং ইজারার শর্ত না মানলে দখলকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে,

আপনার মন্তব্য লিখুন