হামিদ শরীফ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: শান্তি খানম (৭৮)। নামটা “শান্তি” হলেও তাঁর জীবনে শান্তি কথাটা যেন বড় বেশি বেমানান। জন্ম থেকেই দুঃখ-কষ্ট যেন পিঁছু ছাড়ে না তাঁর। সেই কত বছর হলো স্বামী হারা সংসার। দুঃখ-কষ্ট লেগে আছে সবসময়। আপনজন বলতেও তেমন কেউ নেই। তাইতো বেঁচে থাকার স্বপ্নটাও আজকাল বড় বেশি ক্ষীণ হয়ে গেছে। তার ভাষ্য, পৃথিবীতে শান্তি বলে কোনো কথা নেই। শান্তিটা লেখা হয়েছে যেন টাকাওয়ালাদেরই জন্য। গরীব হয়ে জন্ম গ্রহণ করাটাই বুঝি ছিলো বড় পাপ।
ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ী কমলাপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামের পাঁশের একটি ঝুঁপড়ি ঘরে কোনো রকম মাথা গুঁজেন শান্তি খানম।
তিনি বলেন, “হুনেছি কত মানুষ বয়স্ক ভাতা পায়। এত বয়স হলো আমিতো এট্টা (একটা) কার্ড পেলাম না-রে বাজান। এট্টা কার্ড করে দে-না আমারে, খেয়ে বাঁচি! কত মানসের কাছে গেছি এট্টা (একটা) কার্ডের লাইগা, কেউ দেয়না-রে বাজান। এহন আর কারো কাছে যাইনা। কারণ, কেউ কতা দিয়ে কতা রাহেনা।”
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মাসুম রেজা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আমাদের দ্বিতীয় ধাপের যে ঘরগুলো আসছে, সেখানে আমরা তার মতো অসহায় ও হতদরিদ্রদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারবো এবং পাঁশাপাশি ওনার যদি খাবার-দাবারের কোনো সংকট থাকে সেটিও আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করা হবে।