স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে গত ২০ এপ্রিল বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকার রোহিনী চন্দ্র বর্মন নিজ বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে একসঙ্গে ইতি রানী (২০) ও মমতা রানীকে (২১) বিয়ে করেছেন। একসঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ের ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এরই মধ্যে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করা সেই রোহিনী চন্দ্র বর্মন গত ১২ মে (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় বউ মমতাকে আইনি প্রক্রিয়া মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী জানান, একসঙ্গে দুই বউকে সামলাতে না পারায় ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছেন রোহিনী চন্দ্র।
এ বিষয়ে জানতে রোহিনী চন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
এ বিষয়ে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন,ডিভোর্স এর বিষয় আমি জানতে পেরেছি। তবে যতটুকু জানি দ্বিতীয় বউ মমতা রোহিনী চন্দ্রকে তালাক দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রোহিনী চন্দ্র বর্মন আটোয়ারী উপজেলাধীন লক্ষ্মীদ্বার এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে। ইতি রানী একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। আর মমতা রানীর বাড়ি একই ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার টোনো কিশোর রায়ের মেয়ে।
বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার ইতি রানীর সঙ্গে রোহিনী চন্দ্রের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। একপর্যায়ে তারা মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। বিয়ের বিষয়টি তারা দুজনেই গোপন রেখেছিলেন। এর মধ্যে রোহিনী চন্দ্র নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন লক্ষ্মীদ্বার এলাকার মমতা রানীর সঙ্গে। প্রেমের সূত্রে মমতার সঙ্গে গত ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রোহিনী চন্দ্র। সেখানে দুজনকে এক সঙ্গে দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন।
পরে রোহিনীকে আটকে রাখেন তারা। পরদিন ১৩ এপ্রিল তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন আগের প্রেমিকা ইতি রানী। পরে বুধবার রাতে রোহিনীর বাড়িতে পুনরায় একসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং দুই বউকে একসঙ্গে ঘরে তুলে নেন রোহিনী।
রাশেদুল ইসলাম রাশেদ/আরইসআর