রংপুর প্রতিনিধি।। রংপুর নগরীর শেখপাড়া এলাকায় দুই খালাতো বোনের সঙ্গে প্রতিবেশী এক তরুণ প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরবর্তীতে দুই বোন বুঝতে পেরে নানার বাড়িতে গিয়ে একসঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি তিন বছর আগের হলেও এখন মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।
জানা গেছে, পুলিশ আড়াই বছর তদন্ত করে ঘটনাটির মূল রহস্য বের করতে পারেনি। পরে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ায় মূল রহস্য উদঘাটন হয়। আর দুই বোনের মরদেহে ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। সেখানে এক ব্যক্তি দুই বোনকে ধর্ষণ করেছেন সেটিরও আলামত সামনে চলে আসে।
পিবিআই এর তদন্তে জানা গেছে, খালাতো দুই বোন সাদিয়া জান্নাতি ও লৎফুন্নাহার খাতুনের সঙ্গে প্রতিবেশী মেরাজুল ইসলাম (২১) নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দুজনের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক করেন মেরাজুল। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুজতে পেরে একই সঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যা করে জান্নাতি ও লুৎফুন্নাহার। এ ঘটনায় মেরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মেরাজুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, রংপুর নগরীর শেখপাড়া এলাকার আনছার আলীর ছেলে মেরাজুল ইসলাম একসঙ্গে দুই খালাতো বোনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়ায় নানা বাড়িতে গিয়ে একই সঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যা করে দুই বোন।
পিবিআই’র পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব আমাদের দেওয়ার পর দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালানো হয়। প্রকৃত মৃত্যুর রহস্য মেলে দুই বোনের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। কারণ তারা দুজনই মৃত্যুর আগে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি জানা যায় ওই প্রতিবেদনে। তারপর তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ও অনুসন্ধানেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে আসে।