মামুনুর রশিদ (মিঠু)।। লালমনিরহাটে এক প্রয়াত এন এস আই সদস্যের বাড়ীতে তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাওয়া গেছে। আর এখন পরিবারের দ্বাবি প্রয়াত এই এন এস আই সদস্যকে মরণোত্তর মুক্তিযোদ্ধার শিকৃতি দেওয়া হোক।
জানাগেছে, জেলা সদরের অদুরে আদিতমারী উপজেলার খাতাপারা এলাকায় বসবাস করে আসছেন প্রয়াত এন এস আই সদস্য শাহজাহান আলী মিলনের পরিবার।
আর সে বাড়ীর একটি আলমিরা থেকে পাওয়া গেছে ১৯৭২ সালে সাক্ষরিত পৃথক দুটি সনদ আর তাতে লেখা আছে ” গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দেশ রক্ষা বিভাগ, স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র নাম মোঃ শাহজাহান আলী মিলন। ২৭-১২-১৯৫৪ইং পিতার নাম মোঃ আবু তালেব প্রাঃ। গ্রামঃ ঝুরঝুরি, থানাঃ তারাশ, জেলাঃ পাবনা। স্বাধীনতা সংরামের বীর সৈনিক ৪নং ব্যাটালিয়ন ৪নং কোম্পানির অংশগ্রহণ করিয়া প্রান পন যুদ্ধ করিয়াছে অতএব আমি তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল কামনা করি ইতি ৪নং ব্যাটেলিয়ন, অধিনায়ক ৪নং কম্পানী। তাং-৫/৩/১৯৭২। আরেকটি সনদে লেখা রয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামঃ মোঃ শাহজাহান আলী মিলন, পিতাঃ আবু তালেব প্রাঃ, গ্রামঃ ঝুরঝুরি, থানাঃ তারাশ, জেলাঃ পাবনা অসহযোগ আন্দলনের সময় উপরোক্ত ছেলে আমার সেচ্ছাসেবক বাহীনিতে যোগ দেয় এবং দেশের ও দশের জন্য প্রাণপণে যুদ্ধ করে।
প্রয়াত এই এন এস আই সদস্য জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলাধীন তাড়াশ উপজেলার ঝুরঝুরি গ্রামে। যুদ্ধকালীন সময় ছিলেন নানার বাড়িতে। তার দুই মামাও বীরদর্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামে। জনশ্রুতি আছে, ১৯৭১সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় তার নানার বাড়িতে পাক হানাদার বাহিনী আগুন লাগিয়ে গোটা বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
তার স্ত্রী ফজিলা খাতুন খালাতো বোন হওয়ায় পূর্ব পরিচিত ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। শাহজাহান আলী মিলনের স্ত্রী আরো জানান, চাকরি জীবনে তিনি রংপুর অঞ্চলের লালমনিরহাট,কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী, রৌমারী, রাজিবপুর সহ রংপুর শহরেও দীর্ঘদিন সুনামের সাথে কাজ করেছিলেন।
তিনি আরো জানান, এন এস আই এ কাজ করার জন্য মাঝে মাঝেই খুঁজে পাওয়া যেত না তাকে। দেশের জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনের পর বীরদর্পে এনএসআইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করার পরে তাঁর মৃত্যুর পর এখন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা দাবি করি তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন বলেন সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে খোঁজ করে ওই সনদ সঠিক কি না তা যাচাই বাছাই করে সেখানকার কমান্ড ব্যাবস্থা নিতে পারে।