ভারতে ফের কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন কৃষকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদে এবার প্রতীকী অনশনে বসতে চলেছেন তারা। রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে এখনও চলছে অবস্থান কর্মসূচি। যদিও দিল্লিতে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
দিল্লি-জয়পুরের জাতীয় সড়কে আটকে কৃষকদের বিক্ষোভ
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার একদিনের প্রতীকী অনশনে বসছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। সেই আন্দোলনে এবার যোগ দিতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এদিকে, কৃষক সংগঠনের একাংশ যারা এই বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন তারা এই আন্দোলনের শরিক নন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক নেতা শিব কুমার কাক্কা। যতদিন না কৃষকদের সমস্ত দাবি কেন্দ্রীয় সরকার পূরণ করছেন ততোদিন এই আন্দোলন দেশজুড়ে জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক নেতারা। সেই সঙ্গে আগামী দিনে বাড়ানো হবে কৃষক আন্দোলনের তীব্রতাও।
তবে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, কৃষকদের দাবি না মেনে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এর ফল ভালো হবে না।
কৃষি বিল নিয়ে ইতোমধ্যে কৃষকদের সঙ্গে মোদি সরকারের পাঁচটি বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। কোনো সমাধান আসেনি। দফায় দফায় আলোচনার পরেও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। সরকারের কাছে থেকে এই বিল প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হ্যাঁ বা না উত্তর জানতে চেয়েছেন তারা।
এর আগে কৃষকদের ডাকা ভারত বনধে যথেষ্ট সাড়া পড়েছিলো। ফলে এবার কৃষকরা অনশনে যাওয়ায় আগে এদিনের প্রতীকী অনশন চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের মোদি সরকারের ওপর।
ভারতের প্রায় ১৬টি রাজনৈতিক সংগঠন কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতমভাবে রয়েছে কংগ্রেস, বাম সংগঠন এবং তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়া শরদ পাওয়ারের এনসিপিও কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে।