প্রতিদিনের বাংলাদেশ।। ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বন্ধ থাকবে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। চলবে না যানবাহন, গার্মেন্টস কারখানাও বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। কিন্তু এতেও কমেনি জনগণের উদাসীনতা। এ অবস্থায় জনস্বার্থে সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে।
চলমান এক সপ্তাহের ‘লকডাউনে’ জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের একবছর পেরিয়ে এসে গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফের বাড়তে থাকে সংক্রমণ ও করোনায় মৃত্যু। এ পরিস্থিতিতে গত ২৯ মার্চ সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে, যাতে সবাইকে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে বলা হয়।
পরে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে ৫ এপ্রিল থেকে একসপ্তাহের জন্য সব ধরনের জনসমাগম ও যানচলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। মোট সাত দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় সবার জন্য।
তবে এই নির্দেশনায় অফিস-আদালত বন্ধ রাখতে বলা হয়নি, নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সীমিত লোকবল নিয়ে অফিস চালাতে বলা হয়। এই বিধিনিষেধ কার্যকরের একদিন পর ৬ এপ্রিল সরকার জানায়, ৭ এপ্রিল থেকে ঢাকাসহ দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনে সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন চলবে। এ ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা যাবে, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, শুক্রবার (আজ) থেকে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকানপাট ও শপিং মল।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বলতে যে চিন্তাটি করা হয়েছে সেটা হলো শুধু জরুরি সেবা ছাড়া আর কোনো কিছুই চলবে না। এখন যেমন কিছু কিছু বিষয়ে নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে, সেটি হয়তো তখন আর করা হবে না।
আগামী রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।