ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ এপ্রিল ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কঠোর লকডাউনের আগে বাড়ি ফেরার প্রতিযোগিতা!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
এপ্রিল ১৩, ২০২১ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।। কঠোর লকডাউনের আগেই বাড়ি ফিরতে হবে। তাই মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া হয়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌ-রুটে হয়ে দলে দলে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। এ যেন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের ঘরে ফেরার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

প্রথম রোজার আগের দিনটিতে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও ফেরি, ট্রলার ও কিছু কিছু স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হয়ে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

বাস চলাচল বন্ধ। ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার আর মোটর সাইকেলে করে ঘাটে এসেছেন তারা। নৌ ও স্থলপথে যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে কঠোর লকডাউনের একদিন আগেই বাড়ি ফিরছেন সাধারণ এ মানুষগুলো।

শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণায় মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা দিয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকে। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরি, স্পিডবোট ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়ি ফিরছেন। এই সুযোগে তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন যানবাহন মালিকরা।

বিআইডব্লিউটিসিরশিমুলিয়া ফেরিঘাটের মেরিন অফিসার মোঃ আহম্মেদ আলী জানায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহের সোমবার থেকে সাত দিন সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে জরুরি প্রয়োজনে উভয় ঘাটে দুটি ছোট ফেরি চালু রাখতে বলা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফেরি কম চলায় ঘাটে মালবাহী ট্রাকের জট সৃষ্টি হওয়ায় গত রোববার থেকে ১৫টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে।

যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায়, লকডাউনে ঢাকায় থেকে কোনো লাভ নাই। শুধু খরচ বাড়বে। তাই বাড়ি যাচ্ছেন তারা । জাকির নামে ঘরমুখো এক যাত্রী বলেন, কাল (বুধবার) থেকে সব কিছু বন্ধ থাকবে। ঢাকায় থেকে কি করবো? তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। অপর যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, ঈদের তিন/চার দিন আগে বাড়িতে যাওয়া হয়। কিন্তু এবার লকডাউন আর করোনা পরিস্থিতির কারণে রোজার আগেই বাড়ি যাচ্ছি। রোজার পুরো মাস বাড়িতেই থাকবো।

বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সাহাদাৎ হোসেন বলেন, সকাল ৬ টা থেকে ১৫টি ফেরি চলছে। শিমুলিয়া থেকে অসংখ্য যাত্রী পার হয়ে আসছে ফেরিতে। এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে কমপক্ষে ১৫শ ছোট বড় যান অপেক্ষায় রয়েছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুন