ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৩য় তলার পুরুষ ওয়ার্ডে প্রতিবন্ধী ছেলের পাঁশে পিতা দুলাল মিয়া কাঁদছেন। তার একমাত্র ছেলে মাঈন উদ্দিন আর বেঁচে নেই।
নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দার বাসিন্দা দুলাল মিয়া। ৫ বছর আগে স্ত্রী মারা গেছেন তার। জীবিকার তাগিদে থাকেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নে একটি বাড়া বাসার। ওই এলাকায় তরকারি বিক্রি করেন দুলাল মিয়া। দুই মেয়েও তার প্রতিবন্ধী।
আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রতিবন্ধী মাঈন উদ্দিন মুখদিয়ে কয়েকবার বমি করার ফলে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাবা দুলাল মিয়া। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা চিকিৎসাধীন থাকার পরে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ছেলের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে তাকে দেয়ার কোন প্রক্রিয়া যদি থাকে তবে তিনি কতৃপক্ষের কাছে বিনা ময়নাতদন্তে তার ছেলের দাফনের অনুমতি চেয়েছেন। এবং তার ছেলেকে কবর দেয়ার জন্য আমজাদহাট এলাকাবাসীর কাছে কবরের জায়গার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জনাব ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী মাঈন উদ্দিনকে বাঁচতে হাসপাতালের যে সকল ডাক্তার,নার্স ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।