বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।। জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে করোনা টিকা গ্রহণের অনীহার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আশঙ্কায় উপকূলীয় জেলা বরগুনা থেকে ৩ হাজার ১০০ ডোজ টিকা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে জানায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশব্যাপী করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম হয়। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু টিকা কার্যক্রমের এক মাস অতিবাহিত হলেও বরগুনায় জনসাধারণের মাঝে টিকা গ্রহণের আগ্রহ কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। এজন্য টিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আশঙ্কায় গত ৭ মার্চ বরগুনা থেকে ৩ হাজার ১০০ ডোজ টিকা বরিশালে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনার আমতলী থেকে ২ হাজার ডোজ, বেতাগী থেকে ৩৩০ ডোজ ও পাথরঘাটায় ৭৭০ ডোজ।
জেলা সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানিয়েছে, টিকা কার্যক্রম শুরুর আগে বরগুনার চাহিদার ভিত্তিতে ২৪ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৩০ ডোজ, আমতলীতে ৭ হাজার ২৮০, পাথরঘাটায় ৪ হাজার ৪১০, বামনায় ২ হাজার ১৪০ ও বেতাগীতে ৩ হাজার ১৪০ ডোজ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ২৩৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ১১ হাজার ৩৪ জন ও নারী রয়েছে ৬ হাজার ২০৫ জন।
মানুষকে সচেতন করা সত্ত্বেও করোনাভাইরাসের টিকা নিতে চাচ্ছে না জানিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণের কারণে ২০০ ভায়েল অর্থাৎ ২ হাজার মানুষের টিকার ডোজ ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে টিকার কোনো সংকট নেই।
সেন্ট্রাল থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা টিকা ফেরত পাঠানো হয়েছে জানিয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, আমাদের কে বলা হয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে টিকা অব্যবহৃত থাকলে সেগুলো ফেরত পাঠানোর জন্য। কেননা দেশের অনেক জায়গা রয়েছে যেসব এলাকায় এখনো টিকার চাহিদা রয়েছে তাই সমবণ্টনের জন্যই টিকা ফেরত পাঠিয়েছি।
প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য আমাদের যে পরিমাণ টিকার প্রয়োজন তা তাদের কাছে মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।