হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
র্যাব অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গেলো মাসের ৯ জানুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার চাটপাড়া এলাকার ওই কিশোরী তার এক বান্ধবীকে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে বেড়াতে আসে। ওই দিন একই উপজেলার গণেশপুর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে কাউসার ওই কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে। পরে শায়েস্তানগর এলাকার কাদির মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় তাকে আটকে রাখে। পরে বিভিন্ন বাসায় নিয়ে কয়েক দিন ধরে রাতযাপন করে।
ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে বড়বোন সালমা আক্তার গেলো ২৮ জানুয়ারি চুনারুঘাট থানায় জিডি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যা ব-৯ এর একটি দল ৩১ জানুয়ারি কল লিস্টের সূত্র ধরে কিশোরীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়।
পরে পরিবারের লোকজনকে ওই কিশোরী একাধিকবার ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। এতে একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে সমাধান না হওয়ায় ওই কিশোরীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ জানান, এ ব্যাপারে এখনও কোনও মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্ত কাওসারকে ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে।