রাকিব হোসেন | নিজের পছন্দের লোকদের দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি তৈরি করে কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
বুধবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় নিজের ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ দাবি করেন।
কাদের মির্জা বলেন, ‘যেহেতু নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি অনুমোদন হয়নি, সেহেতু আগের কমিটি বহাল আছে। তাই আমি ওই কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবরে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি প্রস্তাব করেছি।’
তিনি দাবি করেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক যদি কমিটি প্রস্তাব করতে পারে, তাহলে আমি সহ-সভাপতি হয়ে কেন পারব না। আমিও তো আওয়ামী লীগের একজন সদস্য। ওই ক্ষমতাবলে আমিও কমিটি প্রস্তাব করেছি।’
এই পৌর মেয়র বলেন, ‘জেলার দুই হাজার লোক কমিটিতে থাকার উপযুক্ত। সবাইকেতো রাখতে পারব না। তবে কয়েক জনের সঙ্গে আলাপ করে একটি কমিটি প্রস্তাব করেছি। এরমধ্যে তাঁর নিজের এলাকার কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে প্রস্তাবিত কমিটিতে রাখা হয়েছে।’
তবে কাদের মির্জার প্রস্তাবিত ওই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
কাদের মির্জা বলেন, ‘অপরাজনীতির হোতারা সবাই আমার বিরুদ্ধে একসঙ্গে হয়েছে। একরাম অপরাজনীতি করে তাই বলে তাকে বাদ দিয়ে আরেক একরাম নেতৃত্বে আসুক সেটা আমি চাই না। আমি গুণগত পরিবর্তন চাই।’
এর আগে, একরাম চৌধুরীর প্রস্তাবিত জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কাদের মির্জা। এছাড়া ভবিষ্যতে দলের কোনো পদ-পদবিতে না থাকারও অঙ্গীকার করেন এই আলোচিত মেয়র।
এদিকে কাদের মির্জার এমন প্রস্তাবকে হাস্যকর বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা জানান, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়ে গেছেন। আর সহ-সভাপতি কোনো কমিটি প্রস্তাব দলের গঠনতন্ত্র সমর্থন করে না।