আনিসুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টারঃ কুড়িগ্রাম সদরের পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ মার্চ) সকালে পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় সুমন বাস্ফরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার তথ্য নিশচিত করেছেন সদর থানার ওসি খান মো.শাহরিয়ার।
নিহত কিশোরের নাম রাহুল বাস্ফর (১৮)। সে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাচারি বাজার এলাকার প্রদীপ বাস্ফরের ছেলে এবং বর রনি বাস্ফরের খালাতো ভাই বলে জানা গেছে।
বরপক্ষের লোকজন জানান, রবিবার (৬ মার্চ) রাতে গাইবান্ধার কাচারি বাজার এলাকার স্বপন বাস্ফরের ছেলে রনি বাস্ফরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম সদরের পুরাতন রেলস্টেশন পাড়ার সুমন বাস্ফরের মেয়ে অন্তরা রানী বাস্ফরের বিয়ে হয়।বরপক্ষে প্রায় শতাধিক লোক আসেন উক্ত বিয়ে বাড়িতে। সোমবার সকালে বর বিদায়ের আগে মদ খেয়ে নাচানাচির সময় কনের প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে রাহুলসহ কনেপক্ষের কয়েকজনের ধাক্কা লাগা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।ঘটনার কিছু সময় পর স্থানীয় এক যুবক আকস্মিক ছুটে এসে রাহুলের বুকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় বরপক্ষের আরও কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বরযাত্রী রুবন বাস্ফর বলেন, ঘটনার সময় আমি একটু দূরে অবস্থান করছিলাম। সকালের নাচানাচির সময় সংঘর্ঘের সূত্র ধরে স্থানীয় এক যুবক বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে রাহুলের বুকে আঘাত করে। এতে সে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। সেখানে রাহুলের সঙ্গে থাকা কয়েকজন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারাও আহত হন। হামলাকারী ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারীকে তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান।
কনের বাবা সুমন বাস্ফর বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম। ওইদিকে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নাই। আমি দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছি।
এঘটনায় সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, হামলাকারীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।