মোঃ মামুনুর রশিদ (মিঠু)।। ক্যান্সার আক্রান্ত সেই সামসুরের অবস্থার অবনতি হয়েছে। আগে ওঠাবসা করতে পারলেও বর্তমানে বিছানাতেই দিন কাটছে তার।
প্রায় মাস দশেক আগে হঠাৎ ছামসুরের গলার একাংশে ছোট ছোট বিষফোঁড়া সদৃশ কিছু লক্ষ করে। কিন্তু সেটা নাকি ভিশন যন্ত্রণাদায়ক ছিল। সইতে না পেড়ে স্থানীয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। চলে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারের হাতুড়ে চিকিৎসা। কিন্তু দিন যতোই গড়ায় ছামসুরের অবস্থার অবনতি ঘটে।
সামান্য জমি বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ ও পরের ক্ষেতে দিনমজুর দিয়ে সংসারটা চালিয়ে আসছিলো সে। জীবন বাঁচাতে বন্ধকী জমিটুকু ছেড়ে দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে চলতে থাকে চিকিৎসা, কিন্তু তখনো ছামসুর জানতেন না তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণ ব্যাধি ক্যানসার।
লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুরের বিভিন্ন ডাক্তার দেখে প্রায় পাঁচ মাস আগে সনাক্ত হয়েছে সে ক্যানসারে আক্রান্ত।
ছামছুর হকের এখন উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন কিন্তু তিন শতক ভিটা ছাড়া তার যে আর কিছুই নাই। একমাত্র ছেলে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরী করলেও লকডাউনের কারনে সে নিজেই বিপাকে।
বর্তমানে সরকারি বেসরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় আছে ঐ পরিবারটি।
এর আাগে ছামসুরের দৈন্যদশা নিয়ে একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হলে, অনেকের দৃষ্টিগোচর হয়। এক ছাত্র নেতা কিছু নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগীতাও করেন। আবার অনেকে তাকে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। বর্তমানে ছামসুরের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, ছামসুরের পরিবার ও স্থানিয়রা বলছেন, আমরা যারযার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। যা চাহিদার তুলনায় একেবারই অপ্রতুল। ক্যানসার আক্রান্ত ছামছুরের প্রতি নিশ্চয় সরকার ও সমাজের বৃত্তবানরা সহায়ক হবেন। এবং যে সকল সহৃদয়বান ব্যাক্তিগন ছামসুরের চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন।