গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ ২০২১ সালে গাইবান্ধা পৌর নির্বাচনে সহিংসতার মামলার অভিযোগপত্রে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মোঃ সাইদ হোসেন জসিম ও তার সহোদর তিন ভাইয়ের নাম অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে জেলা শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে রাস্তা বন্ধ করে গাইবান্ধার নাগরিক পরিষদের আয়োজনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় শ্রমিক লীগ গাইবান্ধা শহর শাখার সাধারন সম্পাদক
চঞ্চল সাহার সঞ্চালনায় ও নাগরিক কমিটির আহবায়ক বাপ্পি দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদির রহমান মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ রঞ্জু, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদার রহমান শাহান, জাসদের জেলা সভাপতি গোলাম মারুফ মনা ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ বকসী সূর্যসহ অনান্যরা।
এসময় বক্তরা বলেন, সেদিনের নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও ষড়যন্ত্রমূলক ও পরিকল্পিতভাবে অভিযোগ পত্রে জসিম, শাহিন, রুবেল ও সোহেলসহ আপকন চার ভাইয়ের নাম নতুন করে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। অথচ তারা নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করেছিলেন। তাদের বাড়ি ওই সেন্টার থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে ভোটের দিন তারা নিজ নিজ সেন্টারে কাজ করতে ছিলেন। শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে আজকে একই পরিবাপের চার ভাইকে এই মামলার আসামি বানানো হয়েছে।
এসময় বক্তরা পুলিশের দায়িত্বহীণতার কথা তুলে ধরেন এবং তাদের সতর্ক করে বলেন, অবিলম্বে এই ষরযন্ত্রমূলকভাবে দেওয়া মামলার চার্জশিট থেকে এই চার সহোদরের নাম বাদ দিতে হবে। পরে সমাবেশে সেদিনের সহিংসতার ঘটনায় গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের দেওয়া একটি বক্তব্যর অডিও শোনানো হয়।
এসময় গাইবান্ধার চারলেন সড়কের একপাশ বন্ধ করে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপি এই মাবনবন্ধন চলে। মানববন্ধনে বিভিন্ন পেশাজিবি সংগঠনসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সহশ্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পরিদর্শন করে।
প্রসঙ্গত: ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি গাইবান্ধার পৌর নির্বাচনে সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভোট গণনা না করেই ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কোমরনই কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি আটকে দেয় এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় সরকারি একটি গাড়িতে আগুন ও র্যাব- পুলিশের ৪টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশও কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মেহের ও সেলিম নামের দুই কর্মীও আহত হন। পরে এ ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১৪০/১৫০ জন নারী-পুরুষকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
গাইবান্ধা/আরইসআর