গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতার মুখোশ উন্মোচন এবং তাদের কু-কর্ম গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড গাইবান্ধা।
রোববার(৬ মার্চ) বেলা এগারটার দিকে শহরের ব্রীজ রোডের পুরাতন বাজার সংলগ্ন গাইবান্ধা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
এসময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক শেখ রোহিত হাসান রিন্টু লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন,আপনারা হয়তো, গত ২২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি ভুয়া কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে দেখেছেন। যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আতিকুর রহমান আতিক বাবুর নাম রয়েছে। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন, এই আতিক বাবুকে একটি এজাহারভুক্ত ধর্ষণ মামলাসহ চুরি ও বেশ কয়েকটি প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলার অভিযোগে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কার করেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সভাপতি শেখ আতিকুর বাবু স্বাক্ষরিত ইস্তেকুর রহমানকে সভাপতি ও শেখ রোহিত হাসান রিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে গাইবান্ধা জেলা কমিটির অনুমোদন দেন। যা এখন পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে।
অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে টাঙ্গাইল জেলা কমিটি গঠনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে, “মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল” ২০১৬ সালের জুলাই মাসে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ৩০মে সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতির দায়িত্ব পান শেখ আতিকুর বাবু (কেন্দ্রীয়)। পরে পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টের দারস্থ হন অভিযুক্ত মেহেদী হাসান। কিন্তু আদালতের রায়ে বৈধতা পায় শেখ আতিকুর বাবুর কমিটি।
এ সময় শেখ রোহিত হাসান রিন্টু উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, মেহেদী হাসান নিজেই যেখানে বহিষ্কৃত, সেখানে তার দেয়া গাইবান্ধা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কমিটি কিভাবে বৈধ? বহিষ্কৃত এই দুই নেতার এমন কর্মকান্ডকে ধিক্কার জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অনুরোধ জানান তিনি। এরআগে অভিযুক্ত দুই নেতার বহিস্কৃত হওয়ার কেন্দ্রীয় চিঠি, হাইকোর্টের রিট, এবং বর্তমান ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দীয় কমিটির অনুমোদন পত্র অবগতির জন্য সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের জেলা ও উপজেলার কমিটির নেতৃবৃন্দ, সদস্য ও আতিক বাবুর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী মৌসুমি মিষ্টিসহ জেলার প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরইসআর/গাইবান্ধা