শিরিনা আক্তার শিলা।। দীঘল কালো সুন্দর চুল আমাদের সবারই পছন্দ। কিন্তু চাইলেই কি তা সম্ভব? চুলের আছে নানা সমস্যা। চুল পড়া, আগা ফাটা থেকে শুরু করে চুল পাকা আরও কত কিছু। তাই যত্ন নিতে হয় নিয়মিত। চুলের যত্ন নিতে আমাদের প্রথমেই জানা দরকার আমাদের চুলে ধরন সম্পর্কে। এসম্পর্কে হারমনি স্পার সত্ত্বাধিকারী রাহিমা সুলতানা বলেন সাধারণত যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের চুলও তৈলাক্ত হয়। আর যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়। কেবল ঋতুভেদে নয়, চুলের প্রাকৃতিক যত্ন চাই নিয়মিত। চুলের প্রাকৃতিক যত্ন আমরা ঘরেও নিতে পারি। আসুন জেনে নেই চুলে যত্নে ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে।
সপ্তাহে তিন দিন ছয় টেবিল-চামচ নারকেল তেল দিয়ে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
মাথায় খুশকির উপদ্রব থেকে বাচতে নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এক ঘণ্টা মাথায় রেখে তারপর শ্যাম্পু করুন।
একটি কাচের শিশিতে এক টেবিল-চামচ মধু ও চার টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শিশি ঝাঁকিয়ে চুলের গোড়ায় পাঁচ-দশ মিনিট ম্যাসাজ করে ২০ রাখুন মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করুন।
চার টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মাথার তালুতে আলতো হাতে মেখে রেখে দিন ২০ মিনিট। পাতলা চুল ঘন হবে, চুল পড়াও কমবে।
একটি ডিম, এক টেবিল-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ঘষে ঘষে মাখান চুলে। শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টার মতো। তারপর শ্যাম্পু করুন। এই প্যাক চুলে কন্ডিশনারের কাজ যেমন করবে, চুলকেও মজবুত করবে।
আমলকী পেস্ট দুই টেবিল-চামচ, ডিম একটি এবং টক দই আধা কাপ মেখে প্যাক তৈরি করতে পারেন। কন্ডিশনার ও প্রোটিন প্যাক দুটোরই উপকার পাবেন।
অনেকের মাথায় কিছু অংশের চুল পাতলা হয়ে মাথার ত্বক দেখা যায়। তাঁরা আমলকী বেটে পেস্ট করে তার রস লাগাবেন প্রতিদিন। দুই সপ্তাহ লাগানোর পর ফল পাবেন।
দুই টেবিল-চামচ আমলকীর সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ তিলের তেল ও আধা কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। এই প্যাক ব্যবহারে শুষ্ক চুলে আসবে ঝলমলে সতেজতা।
প্রতিদিন অন্তত একটি আমলকী খাওয়ার চেষ্টা করুন। চুল পড়া কমবে।
চুলে উকুন থাকা একটি সাধারণ সমস্যা। ঘর্মাক্ত ও ভেজা চুলে উকুন দ্রুত বংশ বিস্তার করে। সে ক্ষেত্রে উকুন ধ্বংস করার ওষুধ ব্যবহার করুন। নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন লাগালেও উকুন মরে যাবে।