দিনাজপুর প্রতিনিধি।। দিনাজপুরের বিরামপুরে সীমান্তে চোরাইপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আশরাফুল মোল্লা (২০) নামের এক ভারতীয় যুবককে আটক করেছে বিজিবি।
এ ঘটনায় ওই যুবকের নামে ‘কন্ট্রোল অব এন্ট্রি ১৯৫২’ এর ৪ ধারায় বিরামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। পরে ওই যুবককে পুলিশি পাহারায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মে) সকালে উপজেলার দক্ষিণ দাউদপুর গোবিন্দপুর সীমান্ত এলাকার ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আটক আশরাফুল ভারতীয় হিলি থানার ভীমপুর এলাকার নিচাগোবিন্দপুর গ্রামের রইক মিয়ার ছেলে।
বিজিবির ভাইগড় কোম্পানি কমান্ডার নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ভারতীয় ওই যুবক দাউদপুর গোবিন্দপুর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এসময় কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে সীমান্তে ২৮৯/৪১ এস পিলারের কাছ থেকে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে আটক করেন। পরে তাকে বিরামপুর থানায় ‘কন্ট্রোল অব এন্ট্রি ১৯৫২’ এর ৪ ধারায় সন্ধ্যায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজিবির ভাইগড় কোম্পানি কমান্ডা আরও জানান, আটক আশরাফুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার (১২ মে) দুপুরে ওই সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের ছোঁড়া ককটেলের আঘাতে তিনি আহত হন। সেই চিকিৎসা করাতেই তিনি বাংলাদেশে গোপনে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, শুক্রবার বিকেলে বিজিবি দাউদপুর ক্যাম্প কমান্ডার আফজাল হোসেন ভারতীয় যুবক আশরাফুল মোল্লাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তিনি ওই যুবকের নামে মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, যেহেতু ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেক বেশি। করোনার ঝুঁকি থাকায় ভারতীয় ওই যুবককে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশি পাহারায় প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসত ডা. শাহারিয়ার কবির হিমেল বলেন, রোববার (১৬ মে) ওই যুবকের শরীর থেকে করোনা নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিরামপুর উপজেলার দাউদপুর সীমান্তের গোবিন্দপুর এলাকায় বিএসএফের ছোঁড়া ককটেলের আঘাতে দুইজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি এবং এক ভারতীয় ছিলেন। বাংলাদেশি যুবকের নাম কাজল হোসেন। তিনি ওই এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি রংপুর চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ওইদিন সেখানে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পতাকা বৈঠক করে। বৈঠকে ভারতের ১৯৯ ব্যাটালিয়নের রানা কান্ত এবং বাংলাদেশের দাউদপুর বিওপির কমান্ডার আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।