মনজু হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড়ে একই পোলে আরো একটি সেচ পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ স্থগিত করার বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ পাম্প লাইসেন্স কমিটির সভাপতি বরাবরে ১৭ ফেব্রুয়ারী অভিযোগ দায়ের করেন, উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার মৃত জহিউদ্দিনের ছেলে আজহারুল ইসলাম মহব্বত।
অভিযোগে আছে, ২০২১ সালে সেচ লাইসেন্স নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচ সংযোগ গ্রহণ করে। ওই সংযোগ খুঁটি থেকে মাহবুব আলম আরিফ নামের আরেক কৃষককে আরো একটি সেচ লাইসেন্স প্রদান করে সেচ কমিটি। ওই লাইসেন্সের দেয়া জমির কাগজপত্র অন্য ব্যক্তির। যা সেচ নীতিমালার বহির্ভূত। আমার সেচ বোডিং থেকে ৬০ ফিটের মধ্যে সেচ প্রধানে ব্যঘাত সৃষ্টি হওয়ার লক্ষে সরজমিনে তদন্ত করে স্থগিত করার আবেদন করেন। সেচ কমিটি তদন্ত করে একই নম্বরে দুটি লাইসেন্স হওয়ায় ২৮ ফেব্রুয়ারী মিটার দুটিই বিছিন্ন করা হয়েছে।
এখন অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন বাদী। তার দুটি সেচ পাম্প লাইসেন্স একই নম্বরের। আজহারুল ইসলাম মহব্বত জানান, দূর্ঘটনায় প্রায় অচল আমি অফিস যাতায়াতের সমস্যা, তাই নজরুল ইসলাম নামের এক পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রিসিয়ানের মাধ্যমে সেচ লাইসেন্স করে নেন। বিভিন্ন খরচ বাবদ টাকা নিয়েছেন ৩০ হাজার। এখন দেখছি আমার দুটি লাইসেন্স একই নম্বর(২৬২)।এ দুটি মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। ধারদেনা করে সেচ পাম্পের বোডিংসহ বোরো চাষের উপর (পানি দিতে চেয়ে) টাকা নিয়ে দিশে হারা।
সেচ পাম্পের আওতাধীন কয়েকজন চাষী জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হওয়ায় কেউ অন্য পাম্প দিয়ে সেচ দিচ্ছে, কেউ আবার শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেশি হবে, লোকসান গুনতে হবে অনেক। প্রায় ৩০ বিঘা (দশ একর) জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে ওই সেচ পাম্প দিয়ে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী সেচপাম্প লাইসেন্স প্রত্যাশী কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বোদা উপজেলার সহকারি জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ নাথ বর্মন জানান, সেচ লাইসেন্স উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে হয়ে আসে আমরা শুধু সংযোগ দেই। ইলেক্ট্রিসিয়ান অর্থ নেয়ার বিষয়ে কিছুই জানিনা। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেচ পাম্প লাইসেন্স কমিটির সভাপতি মো. সোলেমান আলী জানান, তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি প্রতিবেদন পেলে বুঝা যাবে কে অনিয়ম করেছেন।