স্টাফ রিপোর্টারঃ সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরি নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। এ তালিকায় ঠাকুরগাঁও জেলার ৯ শিক্ষকের নাম দেখা গেছে। তারমধ্য রাণীশংকৈল উপজেলার ১ শিক্ষকেরও নাম রয়েছে। ডিআইএ বলছে, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধি অভিযান। এ অভিযানে রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরি নেওয়া প্রথম পর্বের তালিকা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে।
গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব প্রকাশ পায়। এতে ঠাকুরগাঁও জেলার ৯ জন শিক্ষকের নাম পাওয়া যায়। তারা জাল সনদে চাকরি করে আসছেন। এদের মধ্যে ৪ শিক্ষক এমপিওভুক্ত ও বাকি ৫ জন ননএমপিও। জাল সনদে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত সহ সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা ফেরত ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। জাল সনদধারী শিক্ষকরা হলেন- রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক (দর্শন) মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়াও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পারপুগী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক সাইদা ইসলাম, সিন্দুর্ণা উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক ফাইসাল আলী, রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতিকুর রহমান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লোলপুকুর ডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মের সহকারী শিক্ষক জসেদা বালা দেবী, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজ) আতিয়ার রহমান, হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) জিল্লুর রহমান, পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ মহিলা কলেজের প্রভাষক(দর্শন) দীপিকা রাণী রায় ও প্রভাষক (ইসলামের ঐতিহ্য ও ইতিহাস) জগবন্ধু রায়।
ডিআইএ প্রকাশিত তথ্য মতে, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুদ্ধি অভিযানে ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের শিক্ষাগত ও যোগ্যতার সনদ ভুয়া পেয়েছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ (ডিআইএ)।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে জাল সনদধারী শিক্ষক রয়েছেন ৪৪৩ জন। এই দুই অঞ্চলের প্রথম পর্বের তালিকায় ১৯৩ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ পেয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান , পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর প্রদত্ত জাল সনদে শিক্ষকদের চাকরি নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। জাল সনদধারীদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, শিক্ষা পরিবার তা বাস্তবায়ন করবে।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (ডিআইএ) প্রফেসর অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর মুঠোফোনে নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে আমাদের কাছে ১০ বছরের একটি হিসাব চেয়েছে। এ জন্য তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে এনটিআরসি সনদ, কম্পিউটার সনদ, গ্রন্থাগার সনদ সহ এ রকম কিছু বিষয়ে ঐ শিক্ষকদের সনদ ঠিক পাওয়া যায়নি।