ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ মার্চ ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ: অবশেষে মামলা!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মার্চ ১০, ২০২২ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় ধর্মীয়সভা শুনে বাড়ি ফেরার পথে এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।

৯ মার্চ বুধবার ধর্ষিত ঐ গৃহবধূ বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩)/৩০ ধারায় বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি রুজু করে ৬০দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২ মার্চ) সদর উপজেলার মধুপুর গুদামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এক সন্তানের জননী শিবযাত্রী ধর্মীয় সভা শুনতে পার্শবর্তী ঢোলারহাট গৌরলাল মন্দিরে যান।একই গ্রামের পুঞ্জিকা সাধক ও তান্ত্রিক প্রকাশ চন্দ্র ঝোল প্রকাশ চন্দ্র ঝোল নামে এক ব্যক্তি ওই নারীকে ফোন করে রুহিয়া বাজারে দেখা করার জন্য অনুরোধ জানায়।সহজ সরল ঐ নারী প্রতিবেশির কথা রাখতে সন্ধা ৭ টায় অটোচার্জার গাড়িতে করে রুহিয়া বাজারে আসেন।

কিন্তু মৌচাক হোটেলের শ্রমিক মেজর (২৮) ঐ নারীকে তার বাসায় নিয়ে যায় এবং তার কোলের শিশুকে জিম্মি করে ফেলে।খবর পেয়ে প্রকাশ চন্দ্র ঝোল ঐ বাসায় গিয়ে গৃহবধূকে ক্যাথলিক মিশন রেলগেটের গেট কীপার শামীম হোসেন(৩০) এর রেলের কোয়ার্টারে নিয়ে যায় এবং গেটম্যান গেটম্যান শামিম হোসেন (৩০), হোটেল শ্রমিক এনামুল হক (৩৫), হোটেল শ্রমিক মেজর (২৮) ও উজ্জ্বল দাস (৩৫) নামে ৫ যুবক মিলে ঐ গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষন করে।শুধু তাই নয়,গভীর রাতে ওই গৃহবধূকে মিশনের পশ্চিমে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে আরেকদফা ধর্ষন করে। পরদিন সকালে ধর্ষকরা ঐ গৃহবধূকে রেলগেট এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে জানালেও পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার কিংবা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান মধুপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী। স্থানীয়রা ঐ গৃহবধূকে উদ্ধার করে এবং গেটম্যান শামীমকে আটক করে।কিন্তু শামীম স্থানীয়দের ভূল বুঝিয়ে পীরগন্জ উপজেলার লোহাগাড়া এলাকায় পালিয়ে যায় এব্ং আত্মগোপন করে। এদিকে ধর্ষিতার স্বামী ভবানী চন্দ্র বর্মন অত্যন্ত গরীব হওয়ায় মামলা করতে আগ্রহী হয়নি। কিন্তু বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে প্রশাসনের টনক নড়ে এবং ধর্ষিত গৃহবধূ মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অবশেষে ৯ মার্চ বুধবার ঐ গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষক তান্ত্রিক প্রকাশ চন্দ্র ঝোল,গেট কীপার শামিম হোসেন, হোটেল শ্রমিক এনামুল হক , হোটেল শ্রমিক মেজর ও উজ্জ্বল দাসকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’২০০০(সংশোধনী/২০০৩)এর ৯(৩)/৩০ ধারায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আবেদন করেন।


বিচারক গোলাম ফারুক বিষয়টি আমলে নিয়ে বাদীনির অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করার জন্য রুহিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।সেই সাথে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন