লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি।। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের গৃহবধূ তন্নী খানম ‘স্ট্রোকে’ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে তন্নীর পরিবারের হত্যা মামলায় তার স্বামী ফরিদ মৃধা এখন কারাগারে। বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে এই দম্পতির দেড় বছরের শিশু তোয়া পড়েছে বিপাকে। শিশুটি এখন কোথায়, কার কাছে যাবে- এ নিয়ে চিন্তিত স্বজনরা। যদিও বর্তমানে শিশুটি দাদা-দাদির আশ্রয়ে রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে মাকড়াইল গ্রামের তবিবার রহমানের ছেলে ফরিদ মৃধার সঙ্গে নড়াইল সদর উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের নুর জালাল মোল্যার মেয়ে তন্নী খানমের বিয়ে হয়। ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট তন্নী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ফরিদ মৃধা শ্বশুরবাড়িতে সংবাদ দেন। খবর পেয়ে তন্নীর ভাই রিয়াজ মোল্যা মাকড়াইল গ্রামে এসে নিজের ব্যাগ থেকে স্যালাইন ও ইনজেকশন বের করে বোনকে পুশ করেন। এতে তন্নীর অবস্থার আরও অবনতি হয়। দ্রুত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর চার দিন পর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে উভয় পরিবার সমঝোতা করে যে, তন্নী স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
ঘটনার পাঁচ মাস পর গত ২৫ জানুয়ারি তন্নীর আরেক ভাই ফরিদ আশফাক বাদী হয়ে নড়াইল আমলি আদালতে ফরিদ মৃধাসহ ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলার আবেদন করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত লোহাগড়া থানাকে এফআইআর করার আদেশ দেন। পুলিশ প্রধান আসামি ফরিদ মৃধাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। শনিবার মাকড়াইল গ্রামে ফরিদ মৃধার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ফুটফুটে শিশুকন্যাটি হাসছে, কখনও দুধের জন্য কাঁদছে।