প্রতিদিনের বাংলাদেশ।। আগের শর্তাবলির সঙ্গে কিছু নতুন শর্ত যুক্ত করে চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। নতুন শর্তে সীমান্তবর্তী জেলার মানুষের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ থাকতে পারে বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছে।
চলমান বিধি নিষেধের শেষ দিন রোববার (৩০ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এমন শর্ত যুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শনিবার (২৯ মে) রাতে বলেন, সীমান্তবর্তী জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। এজন্য সীমান্তবর্তী জেলার মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
এত দিন দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আন্তজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন (বাস, ট্রেন ও লঞ্চ) চলছে। হোটেল ও খাবারের দোকানে আসনসংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দেওয়া যাচ্ছে। ফলে, এখন হোটেলে ধারণক্ষমতার অর্ধেক গ্রাহক বসে খেতে পারছেন।
এর আগে বিধিনিষেধে একই জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলতে পারত। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন বন্ধ ছিল।
এ ছাড়া যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেন আগের মতো বন্ধ ছিল। তবে ঈদের আগে লকডাউনের মধ্যে দোকান ও শপিং মল খুলে দেওয়া হয়। খোলা আছে ব্যাংকও। এ ছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসগুলোও খোলা রয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা কয়েক দফা বাড়িয়ে আজ মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়।