মনজু হোসেন স্টাফ রিপোর্টার।। অভাবের তারনায় ১৩ দিন বয়সি এক কন্যা সন্তানকে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে বাবা-মা। গত ২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত সেলিম রেজার মাধ্যমে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়। এঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার পূর্ব শিংপাড়া এলাকায়। নবজাতক শিশুটি ওই এলাকার সাজেদা-ময়নুল দম্পতির সন্তান। তবে এটাই প্রথম নয়, এই দম্পতি গত আড়াই বছর আগে এক ছেলে সন্তানকে একইভাবে বিক্রি করেছেন।
জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ আগে পূর্ব শিংপাড়া এলাকার নাজির উদ্দীনের ছেলে ময়নুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কায়েতপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সোবহানের মেয়ে সাজেদার। তাদের দাম্পত্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম হয়। তাদের মধ্যে মেয়ে মনিরা (১৩) ও ছেলে সিয়াম (৭) বাড়িতে থাকলেও অর্থাভাবে পরপর দুই নবজাতক শিশুকে বিক্রি করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে একটি ঝুপড়িঘরে বসবাস করছেন ময়নুল। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করে চলছেন। তার অভিযোগ, কোন সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পাচ্ছেননা তিনি।
ময়নুল জানান, স্থানীয় একটি বাজারে বাই-সাইকেল মেরামতের কাজ করতেন তিনি। দোকানঘর ভাড়া নেয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ায় মালিক পক্ষ দোকান নিয়ে নেন। তখন থেকে মাঝে মধ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন।
ময়নুল বলেন, ‘এমনিতে সংসারে টানাপোড়ন। এর মধ্যে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ। উপায়ন্তর না পেয়ে জনৈক সেলিমের মাধ্যমে বগুড়ায় তার বোনের কাছে শিশুটিকে দত্তক দেই। তারা খুশি হয়ে আমাকে কিছু টাকা দেয়।’
স্থানীয়রা বলছেন, একদিকে অভাব অপরদিকে নবজাতক নিয়ে কাজে যেতে সমস্যা হবে এজন্যই হয়তো শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছে। আর্থিক সহায়তা পেলে হয়তো শিশুটিকে বিক্রি করতোনা তার বাবা-মা।
সেলিম রেজা জানান, ময়নুল তার কন্যাকে লালন-পালন করতে পারবেনা দত্তক দেওয়ার জন্য মানুষ খুঁজতেছে, শুনে আমি নিয়ে বোনের কাছে দেই।তার কোন সন্তাদি নাই।