স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের পলি লক্ষীপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি আলমগীরের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী মনজিলা পরকীয়ার টানে একই ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামের কলেজ পড়ুয়া রহিমের বাড়ীতে স্ত্রীর দাবিতে অবস্থান করছেন।
এদিকে প্রেমিক রহিম বাড়ী থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।সরেজমিনে, গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে জুয়েল মন্ডল ওরফে রহিম (২১) এর সাথে পাশাপাশি পলি লক্ষীপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি আলমগীর এর সুন্দরী স্ত্রী তিন সন্তানের জননী মনজিলা বেগমের সাথে প্রেম-ভালোবাসা ও শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের দুইদিন পর শনিবার (১ জুলাই) রাত ১০ টার সময় প্রেমিক রহিম প্রেমিকা মনজিলার সঙ্গে দেখা করতে যায় এবং ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়।
এঘটনা স্বামী আলমগীর টের পেয়ে তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলে।একে নিয়ে উক্ত ইউপি সদস্য /সদস্যাসহ এলাকাবাসী রাতভর দেনদরবার করেও কোন সুরাহা টানতে পারেনি।অবশেষে স্বামী আলমগীর সংসার করবে না বলে স্ত্রী মনজিলাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। এদিকে স্বামীর সংসার হবে না জেনে মনজিলা রবিবার (২ জুলাই) সকালে কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক রহিমের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ীর লোকজনের সহযোগিতায় ধুরন্ধর প্রেমিক রহিম বাড়ী থেকে সরে গিয়ে গা ঢাকা দেয়।অপরদিকে, রহিমের বোন, ভগ্নপতি ও বাড়ীর লোকজন অবস্থানরত মনজিলাকে মারধর করে ঘর থেকে বাড়ীর বাহিরে বের করে দেয়। 
এরপর থেকে মনজিলা বাড়ীর বাহিরে অবস্থান করছে।বিষয়টি ইদিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে অবগত করলে তিনি ওই গ্রামে পুলিশ পাঠিয়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যসহ মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
