জয়পুরহাটের খঞ্জনপুর পূর্বপাড়া এলাকায় মাছুমা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে হত্যা করেছে ভাতিজা রাকিবুল হাসান টিটু (৩০)।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাছুমা একই এলাকার মৃত সায়েদ আলীর স্ত্রী।
এদিকে গ্রামবাসী হত্যাকারী টিটুকে গুলশান মোড় এলাকা থেকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। টিটু ওই এলাকারই আবু সুফিয়ানের ছেলে।
গ্রামবাসী রাজু আহম্মেদ ও নিহতের স্বজন শামসুল হক মণ্ডল জানান, চাচি মাসুমা রাকিবুলের কাছে পাওনা দুই হাজার টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাকিবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ডাব কাটার হাঁসুয়া দিয়ে মাসুমার মাথার বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে দা ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত মাসুমাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খঞ্জনপুর এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সোবাহান মণ্ডল জানান, রাকিবুল মাদকাসক্ত। এর আগেও তিনি নিজের স্ত্রীকে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ভয়ে তার স্ত্রীও তাকে ডিভোর্স দেয়। এমন আচরণের কারণে পরিবারের কারো সাথেই তার সম্পর্ক নেই। এর আগে রাকিবুলকে দুবার মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান প্রতিদিনের বাংলাদেশ কে জানান, সকালে মাছুমা বেগম তার দেবরের ছেলে টিটুর কাছে পাওনা দুই হাজার টাকা ফেরত চাইতে গেলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে টিটু তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় সদর থানায় নিহতের মেয়ে বিউটি বেগম মামলা করেন।