প্রিয়তমার শেষ চিঠি
মোঃ সালাহ উদ্দিন রাসেল
স্মৃতির ডালি সঙ্গে নিয়ে
কাটছে আমার দিন,
শেষ দেখাতে দুঃখ দিয়ে
বাজালে দুঃখের বীণ।
জীবদ্দশায় হয়নি মিলন
দুঃখ তাতে নাই,
ওপারেতে থাকবো দু’জন
মিলনে হবে ঠাঁই।
মরার পরে কবরে আমার
অঞ্জলি তুমি দিও,
পড়লে মনে আমায় তোমার
অনুভবে বুঝে নিও।
বিরহ জ্বালায় জ্বলেছি আমি
সারাটি জীবন ধরে,
জীবন যুদ্ধে পালালে তুমি
একলা থাকি ঘরে।
হলো না আমার ঘর সংসার
স্বপ্নে দিলাম আড়ি,
হতাশায় পুড়ে হলো সংহার
অনিশ্চয়তায় দিলাম পাড়ি।
স্ত্রী সন্তান নিয়ে তোমরা
বড়ই সুখে আছো,
তুমি যে আমার প্রাণ ভোমরা
ভালো কি আমায় বাসো?
বিরহ ব্যথায় বাড়ে যে জ্বালা
পারিনা বুঝাতে মন,
দহনে পুড়ে অন্তর মোর কালা
তুমিই যে পরম ধন।
অলস দুপুরে ক্লান্ত বদনে
থাকি যখন একা,
স্মৃতির ডালির বিরহী কথনে
শুধালে দিতে বকা।
ফাগুন দিনে খোঁপার ভাজে
দিতে গুঁজে ফুল,
বিরহী সময়ে কানে বাজে
তোমার দেওয়া দুল।
ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে
চুলে দিতে আঁচড়,
বাসন্তী রঙা ফতোয়া ঝুলিয়ে
ডাকতে আমায় বাঁদর।
ডাগর কালো আমার চোখে
দেখতে তুমি আলো,
দেখে মোদের বলতো লোকে
জুটিটি দারুণ ভালো।
কোথা থেকে কখন কিভাবে
পড়লো যেন বাজ,
উলট পালট সব হিসেবে
খুললো প্রেমের রাজ।
একলা চলা এই মোর জীবনে
থাকবে প্রদীপ হয়ে,
থাকবে তুমি যে শেষ মরণে
নিঃশ্বাসের বিশ্বাস বয়ে।
এই চিঠিটাই আমার লিখা
শেষতম এক চিঠি,
বুকের গহীনে বইছে বহ্নি শিখা
এইতো তোমার দিঠি।।