রাকিব হোসেন, ফেনী | এক দশকে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির অঙ্ক বলছে কোথাও এক মিনিটও লোডশেডিং হওয়া উচিত নয়। ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড সুলতানপুর এলাকায় যেন নিত্যদিনের ঘটনা। ইচ্ছাকৃত বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখার অভিযোগ রয়েছে ফেনীর বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক এত বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যেও লোডশেডিং নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কেউ মুখ খুলতে চান না।
কিন্তু ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর ৬ নং ওয়ার্ডের এক স্কুল শিক্ষক বলছেন, বিদ্যুৎ যেতেই থাকে। দিনের মধ্যে ৫ থেকে ৬ বার বিদ্যুৎ যায়। গেলে কখন আসবে তা কেউ জানে না। আকাশে মেঘ হলেও অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনও ৩০ মিনিট আবার কখনও এক ঘণ্টা। সন্ধ্যায় আযান দিলো আর বিদ্যুৎ নাই। এলো হয়তো অনেক রাতে। এইভাবেই চলছি আমরা।
এরকম ঘটনা শুধু সুলতানপুর বটগাছ তলার রোডে নয়! পুরো সুলতানপুর এলাকায়। সুলতানপুরের স্থানীয় আরেকজন জানান, দিনের মধ্যে তিন চার বার বিদ্যুৎ যায়। প্রতিদিনই একই ঘটনা। আর বিদ্যুৎ কখন যাবে কখন আসবে তার ঠিক নেই। ফলে দোকান চালানো, বাচ্চাদের পড়ালেখা সব কিছুতেই সমস্যা হয়। তারপরও আমরা মানিয়ে নিয়ে চলি। লোডশেডিং হতেই থাকে। আমরা মাঝে মাঝে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে তারা নানা রকম অজুহাত দিতে থাকে। অনেক সময় সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গিয়ে সারারাত আসলোই না। কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। আমাদের মতো সাধারণ মানুষই শুধু ভোগান্তির শিকার হয়।
দায়িত্বশীলরা লোডশেডিং নিয়ে কথা বললেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে। তারা বলছেন, নিজেদের বিতরণ দুরবস্থার কারণেই বেশিরভাগ লোডশেডিং হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে দ্রুত সরবরাহ ব্যবস্থার বিস্তার ঘটানো হলেও মানের দিকে নজর রাখা হয়নি। এতে এখন এসে বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে। সরকার সারাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এখন ৯৭ দশমিক পাঁচ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। কিন্তু সেই বিদ্যুৎ কতক্ষণ মানুষের বাড়ি থাকছে আর কতক্ষণ মানুষ বিদ্যুৎহীন কাটাচ্ছেন সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না।