মোঃ মামুনুর রশিদ (মিঠু)।। বউকে হারিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে চরম বিপাকে আছে নাজমুল হুদা নামের লালমনিরহাটের এক যুবক। ১৮ বছর আগে শুরু হয় নাজমুল মরিয়ম দম্পতির বিবাহিত জীবন।
১৩ বছর আগে মেয়ে নিশি ও সাত বছর আগে পুত্র সন্তান জন্ম দিলেও শশুর শাশুড়ির মনে জায়গা পায়নি মরিয়ম। এমনটি বলছিলেন জেলা সদরের বড়বাড়ি ইউনিয়নের খেদাবাগ গ্রামের নাজমুল হুদা (৩৩) নামের ঐ যুবক। গেলো ০২/০৩/২০২১ইং তারিখের আনুমানিক বিকেল ৫টা থেকে পাওয়া যাচ্ছে না তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩০) কে।
তারপর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন নাজমুল হুদা। দুই সন্তানের দেখভালের পাশাপাশি দৌড়াতে হচ্ছে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে।
সরেজমিন গিয়ে অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত তারিখে আনুমানিক বিকেল ৫ টার দিকে নাজমুল বাড়িতে না থাকায় বাড়ীর বাইরে থেকে মরিয়মকে কে বা কাহারা উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে নাজমুল হুদা তার মা, বাবা, ভাইসহ মোট পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু দুই দিন অতিবাহিত হলেও মরিয়মকে খুঁজে না পাওয়ায় মরিয়মের ভাই একই গ্রামের মিজানুর পাটোয়ারী বাদী হয়ে মরিয়মের শাশুড়ি নুরনাহার বেগম (৬০), শশুর নুরনবী মিয়া (৬৫) ননদ মুন্নি বেগম (২৮) কে অভিযুক্ত করে লালমনিরহাট সদর থানায় আরো একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পরে পুলিশ ঘটনাটি আমলে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন এ বিষয়ে গ্রেপ্তার করেন মরিয়ম এর শ্বশুর-শাশুড়িকে।
তবে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। মরিয়মের চরিত্র নিয়েও সমালোচনা করেছেন ঐ এলাকার অনেকেই।
এদিকে এলাকাবাসী ও মরিয়মের পরিবারের লোকজন বলছেন, মরিয়মকে নিয়ে কে কি সমালোচনা করছে তা এখন দেখার বিষয় নয়। মরিয়মকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে সত্য উন্মোচন করবে পুলিশ এমনটি প্রত্যাশা করছে সুশীল সমাজ।
বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহা আলম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।