খাজা রাশেদ, লালমনিরহাট। লালমনিরহাটে বখাটেদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানী সহ মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্গতনামা কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর বাবা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,লালমনিরহাটশুরু শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়ার মেয়ে তাবাচ্ছুম(ছদ্দনাম) কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে তাকে ইভটিজিং সহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো বিদ্যালয়ের পিছনে অবস্থিত ক্লাবঘরে মাদক সেবন সহ বিদ্যালয়ে চলাচলাকারী ছাত্রীদের উকতক্ত কারী হিসেবে পরিচিত চিহ্নিত বখাটে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মুরাদ মিয়া (১৯),নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার আরিফ (১৮),পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার কাজল(১৮) সকলের পিতা অজ্ঞাত।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯/০৫/২০২৩ দুপুর ২টায় বিদ্যালয়ের টিফিন সময়ে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে খাবার কিনতে যায় তাবাচ্ছুম।
খাবার নিয়ে বিদ্যালয়ে ফেরার পথে অনন্য অভিযুক্তদের সহায়তায় তার পথরোধ করে তাকে কু-প্রস্তাব দেয় বখাটে মুরাদ মিয়া।
ঐ সময়ে তাবাচ্ছুম তাদের সরে যেতে বলে এবং বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে টানাহেচড়া সহ বিদ্যালয়ের সম্মুখে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি ঘটায় বখাটে মুরাদ মিয়া।
একপর্যায়ে বখাটেদের কবল হতে জোর করে সরে আসার চেষ্টা তাবাচ্ছুম।
এসময ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পর দেয় ও ছেলাফুলা জখম করে।
কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীরা এসে বখাটেদের কবল হইতে তাবাচ্ছুম কে উদ্ধার করে।
পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে এসে বিদ্যালযের শিক্ষকদের নিকট ঘটনা অবগত করে এর বিচার দাবি করে, ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুমের বাবা আলম মিয়া
কিন্তু,এসময়ে তারা নিরব ভূমিকা পালন করে। পরে, থানা পুলিশ কে বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পড়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ঐ স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, এরকম।
একটি অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে ঐ বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।