বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বড়গোপালদী এলাকা থেকে ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে (১৯) গ্রেফতার করেছে দশমিনা থানা পুলিশ। বুধবার (২০ জানুয়ারি) সাইফুলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দশমিনা থানা সূত্রে জানা গেছে, দশমিনা উপজেলা সদরের দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে নানার বাসায় থেকে লেখা-পড়া করতেন ওই ছাত্রী। ছাত্রীর বাবা ঢাকায় কর্মরত থাকার সুবাদে ওই ছাত্রী ঢাকায় বাবার কাছে বেড়াতে যায়। ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদী গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব আলী প্যাদার ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে প্রেম ও বিয়ের প্রলোভনে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সাইফুল ইসলাম।
প্রতারক প্রেমিক সাইফুল ইসলাম ছাত্রীকে ঢাকায় গোপনে বিয়ে করেছে বলে ছাত্রীর নানা-নানীকে জানিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মত দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন। ছাত্রীর নানা হাসেম জানান, তাদের বিয়ের বিষয়টি সন্দেহ হলে সাইফুলের কাছে বিয়ের কাগজ পত্র দেখতে চাইলে সাইফুল বিভিন্ন অজুহাত দেখান।
ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীর নানা মো. হাসেম হাওলাদার বাদী হয়ে দশমিনা থানায় সাইফুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। দশমিনা থানা পুলিশ ওই দিন রাতেই উপজেলার বড়গোপালদী এলাকা থেকে সাইফুলকে গ্রেফতার করে।
দশমিনা থানার ওসি মো. জসীম জানান, ছাত্রীকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য বুধবার পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।