বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্লাস্টের এক নারী কর্মীর বিরুদ্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলার শুনানির দিনধার্য রয়েছে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি)।
১১ নভেম্বর করা মামলায় আদালতের নির্দেশে ২২ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দেয় টেকনাফ থানা পুলিশ। ওইদিন প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিকে সমন দেয় আদালত।
সমন অনুসারে ১৪ জানুয়ারি আসামির আদালতে হাজির হবার কথা। তিনি আদালতে হাজির হলে মামলাটি শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। আর হাজির নাহলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আদালত, এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, ৮ অক্টোবর টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মমতো অন্যদের সঙ্গে ব্লাস্টের এক নারী কর্মীকেও তল্লাশি করা হয়। অটোরিকশার যাত্রী ওই নারী পরে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
তার বক্তব্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় অনেক গণমাধ্যম তাদের অনলাইন ভার্সনে প্রতিবেদনও প্রচার করে। ঘটনার সত্যতা জানতে দ্রুত তৎপর হয়ে উঠে গোয়েন্দা সংস্থাসহ গণমাধ্যম। ওই নারী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।
কিন্তু কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাননি বলে রিপোর্ট দেন। এর প্রেক্ষিতে ১০ নভেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে ওই নারীর বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানির মামলা করে বিজিবি।
টেকনাফ বিজিবির দমদমিয়া তল্লাশি ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেসিও নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আলী মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি করার পর আদালত বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশনার আলোকে ২২ নভেম্বর পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
তবে মামলার দিন থেকে এ পর্যন্ত অভিযুক্ত নারী এনজিওকর্মী কোনো সংবাদকর্মীর ফোন রিসিভ করেননি। এনজিও সংস্থা ব্লাস্টের কোনো কর্মকর্তাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।