জিহাদ হক্কানী,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে জোরপূর্বক কৃষকের ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুব মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েও ধান রক্ষা করতে পারেনি কৃষক মোবাশ্বের হোসেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপীনাথপুর গ্রামের মাহমুদ লুৎফুল্লাহ রহমানের ছেলে মোবাশ্বের হোসেন কয়েকযুগ ধরে তার পৈকৃত্রিক জমিতে ধানসহ বিভিন্ন জাতের ফসল করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব মন্ডলের নির্দেশে একই গ্রামের মৃত আছরত মন্ডলের ছেলে আজিজার রহমান মন্ডল ও তার লোকজন ২০ শতক জমি দখল করে উৎপাদিত বোরো (ইরিধান) কেটে নিয়ে যায়। এর আগে ভুক্তভোগী ওই কৃষক পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জোড় পূর্বক দখলকৃত জমি উদ্ধারের প্রসঙ্গ নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কৃষক মোবাশ্বের জানান, ১৯৭৫ সাল থেকে ওই জমি আমি ভোগ দখল করে চাষাবাদ করে আসছি। বোরো মৌসুমে আমি আমার পৈত্রিক ওই জমিতে ইরি ধান লাগিয়েছিলাম। হঠাৎ চেয়ারম্যানের যোগসাজশে তার লোকজন জোড়পূর্বক আমার লাগানো ইরি ধান কেটে নেয়।
তিনি আরও জানান, গেল বছরের শেষ দিকে ওই জমির কাগজ পত্র দেখতে চায় চেয়ারম্যান। পরে কাগজপত্র দেখালে চেয়ারম্যান বলেন, এগুলো ভুয়া কাগজ ,পরে তারা কৌশলে আমার জমি দখলের চেষ্টা করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি ওই জমিতে ধান লাগাই।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাহবুব মন্ডল চেয়ারম্যানের পক্ষে সমর্থন না করায় আজ আমার জমি দখল করে ধান কেটে নিয়েছে। আমরা কৃষক মানুষ, চেয়ারম্যানের অনেক ক্ষমতা। শুধু চেয়ারম্যান নয় তার বাবাও আমাকে প্রাণাশের হুমকি দিয়েছে।
অভিযুক্ত পবনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব মন্ডলের নিকট এবিষয়ে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মুঠোফোন জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঈদের ছুটির পর অফিস খুললে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জিহাদ হক্কানী/গাইবান্ধা