নওগাঁ প্রতিনিধি।। নওগাঁর ধামইরহাটে যাচাই-বাচাই তালিকা থেকে নাম বাদ পরার খবর শুনে সাহার উদ্দীন নামের এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের দাবি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হবার পরও তালিকা থেকে নাম বাদ পরার খবরেই স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারও বলছেন মৃত সাহার উদ্দীন ছিলেন একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা।
ঘটনাটি উপজেলার নেওটা গ্রামে ঘটেছে। মৃত সাহার উদ্দিন ওই এলাকার মৃত নয়েজ উদ্দীনের ছেলে। পরিবারের দাবি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হবার পরও তালিকা থেকে নাম বাদ পরায় এ অপমান সহ্য করতে না পেরে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি। কিন্তু আবার ওই মুক্তিযোদ্ধাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে।
জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাটে সাধারণ গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৮৯ জনের মধ্যে ৩২ জনকে পাশ দেখিয়ে ও ৫৭ জনকে ফেল দেখিয়ে তালিকা প্রকাশ করেন উপজেলা প্রশাসন।
ওই তালিকায় সাহার উদ্দীনের নামও বাদ পরেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর এ বছর উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে নাম বাদ পরে।
এ খবর শোনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা সাহার উদ্দীন। এবং ১১ টায় তার মেয়ের বাড়িতে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। সে পাঁচ মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গর্ভের সঙ্গেই জীবন-যাপন করতেন। আর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সে প্রথম থেকেই সরকারি সুবিধা ভোগ করে আসছেন। যার গেজেট নম্বর ৩০৩৪।
সাহার উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার বলেন, আমার বাবা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ছোটবেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস তার মুখে অনকে শুনেছি বলতেই কেঁদে ফেলেন।
যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরমুদ হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ কে জানান, সাহার উদ্দীন ছিলেন একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম এভাবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি তিনি সহ্য করতে পারেননি। একজন মুক্তিযোদ্ধার ওপর এটি অবিচার বলে মনে করেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম বাদ পরার পর আবার ওই মুক্তিযোদ্ধাকেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি কতটা যুক্তিযুক্ত এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।