মোঃ মামুনুর রশিদ (মিঠু), লালমনিরহাটঃ এই অঞ্চলের সুস্বাদু হাড়িভাঙ্গা আম গত এক যুগে সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সারাদেশে এর চাহিদাও প্রচুর। এখানকার মানুষ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর এই আম দূরের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে পাঠায়। সারাদেশের মানুষ এ ফলের স্বাদ উপভোগ করে।
জানাগেছে, এ মৌসুমে হাড়িভাঙ্গা আম চাষীরা দুইশ’ কোটি টাকা ঘরে তোলার আশা করেছিলো। এবারে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙ্গা আমের চাষাবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি দশ মেট্রিক টন ফলন লক্ষ্য মাত্রা আশা করা হয়। ফলন ভালো হলেও চলমান লকডাউনে আম চাষী ও ব্যাবসায়ীদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
প্রতিবছর হাড়িভাঙ্গা আমের কেজি ৬০/৬৫ টাকা হলেও এখন তা ২৫/৩০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে। আর তার একমাত্র কারন লকডাউন। গত বছরের একই সময় লকডাউনের কারনে মন্দা গিয়েছে আমের বাজার।
ব্যাবসায়ীরা বলছেন, হাড়িভাঙ্গা আমের চাহিদা এই বাজারে বেশি, তাই তারা বাগান থেকে বেশি করে আম কিনে, খোলা বাজারে বিক্রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। মানুষ বাহিরে বের হচ্ছেন না। আর তাই আম বিক্রিও তেমন হচ্ছেনা। অনেক ব্যাবসায়ীর আম পঁচে গেছে।
শহরের বড় আমের বাজার, স্টেশন রোড মিশন মোড়ের আম ব্যাবসায়ী মতিয়ার রহমান এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, গত বছর আম মৌসুমে লকডাউন ছিলো, তবুও আম বিক্রি হয়েছে কমপক্ষে ৬০/৬৫ টাকায়। আর তা কিনতে বাজারে ভিড় ছিল। ব্যবসা তেমন সন্তোষ জনক না হলেও এমন ক্ষতির সম্মুখীন হননি। বাজারে ক্রেতা নাই আম পঁচে যাচ্ছে। তাই কম দামে বিক্রি করছে রসালো এ ফল।
তবে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক ক্রেতা ৩০/৩৫ টাকা কেজি দরে হাড়িভাঙ্গা আম কিনে কুরিয়ারের মাধ্যমে, বিভিন্ন জাগায় পাঠাচ্ছেন আত্মীয়- স্বজনের বাড়ীতে। আর সে ক্ষেত্রে সুযোগ নিচ্ছেন বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস অফিসগুলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক কেজি আম পাঠাতে তারা ভাউচার কাটছেন ১৫/১৮ টাকার।
সদর উপজেলার বড়বাড়ি গ্রাম থেকে আসা রাসেল নামের এক ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ীতে আম গাছ আছে আমও ধরেছে মোটামুটি। জানতে পেরেছি হাড়িভাঙ্গা আমের দাম কম তাই কিছু আম কিনবো নিজেরা বাড়ীতে খাবার জন্য আর কিছু ঢাকায় বোনের বাড়ীতে পাঠাবো।