আশরাফুল হক, লালমনিরহাট।।অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, লালমনিরহাটে একটি অবৈধ পলিথিন কারখানার সন্ধান মিলেছে। লালমনিরহাট-মোগলহাট রোডস্থ সাখোয়া বাজারের উত্তরে একটি জ্বালানি তেল বিক্রেতার ঘরের সাথে লাগো দালাল ঘর ভাড়া নিয়ে তা আবার ঢেউটিন দিয়ে ঘিরে অবৈধ পলিথিন কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সাখোয়া বাজার একটি জনবহুল ও ব্যস্থতম মোগলহাট পাকা সড়কের পাশে ঘর অবৈধ পলিথিন কারখানার মেশিনের শব্দ যাতে কেউ শুনে বুঝতে না পারে সেজন্য দালাল ঘরে টিনের বেড়া দেয়া হয়েছে। সেই সাখোয়া বাজারের দাঁড়ালে চোখে পড়ে দালাল ঘরে টিনের বেড়া। সেখানে সবার প্রবেশ নিষেধ থাকলেও কৌশলে উঁকি দিতেই দেখা যায় ভিতরে কয়েকজন কাজে ব্যস্থ। অনেকক্ষণ টোকা দেওয়ার পর দরজা খোলেন একজন। ভিতরে ঢুকতেই দেখা গেল পলিথিন তৈরির কাঁচামালের স্তূপ। আবার একদিকে ঘুরছে মেশিনের চাকা, অন্যদিক দিয়ে বের হচ্ছে পলিথিন। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কারখানার মালিকের নাম আঃ সালাম। তিনি লালমনিরহাট রেলওয়ে বাজারের পুরাতন পলিথিন ব্যবসায়ী। তাঁর মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন করা হলে আঃ সালাম বলেন, জি ভাই আমি ওই পলিথিন কারখানার মালিক। কিছু লোকের কর্মসংস্থানের জন্য এ পলিথিন কারখানা শুরু করেছি। বৈধ কাগজপত্র পর্যায়ক্রমে করা হবে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাট-মোগলহাট রোডস্থ সাখোয়া বাজার সংলগ্ন দীর্ঘ
দিনের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী জহরুল হকের ঘর ভাড়া নিয়ে আঃ সালাম অবৈধ নিষিদ্ধ পলিথিন
কারখানা গড়ে তোলেন। সেখানে একপাশে জ্বালানি তেল আর অন্যপাশে ঝুকিতে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা। যে কোন সময় ঘটতে পারে বিপদজনক দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে ওই কারখানায় অবৈধ নিষিদ্ধ নানা রকম পলিথিন তৈরি করে লালমনিরহাটসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলায় বাজারজাত করা হচ্ছে। যেন বাজারে পলিথিনে সয়লাব। উক্ত কারখানায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন একটা অভিযান দেখা যায় না। কিছু অভিযান চললেও মালিকরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। পলিথিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আছে একাধিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। বাজারজাতকরণে রয়েছে ‘পরিবহন সিন্ডিকেট’। এই সিন্ডিকেট পলিথিন উৎপাদনের ছাড়পত্র না নিয়েই অসাধু ব্যবসায়ীরা পলিথিন ব্যাগ তৈরি করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লালমনিরহাটে পরিবেশ অধিদফতর নেই। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যবহার বাড়ছে। ফলে মানুষের শারীরিক হরমোন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর ফলে দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব, নষ্ট হতে পারে গর্ভবতী মায়ের ভ্রূণ, বিকল হতে পারে লিভার ও কিডনি। পলিথিনের বহুবিধ ব্যবহারের কারণে মানবদেহে বাসা বাঁধছে ক্যান্সার। রাজশাহী পরিবেশ অধিদফতর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবেশবাদীরা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, লালমনিরহাটে পলিথিন কারখানা হবে এ বিষয়ে
আমরা কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাইনি। সদ্য গজিয়ে উঠা ওই কারখানার বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।