আশরাফুল হক, লালমনিরহাট | লালমনিরহাটে বড়ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোটভাইয়ে স্ত্রীকে ব্যাপক মারপিট ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছোটভাই বাদী হয়ে সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফী ভুড়িধোয়া গ্রামের মৃত: নুরুল আমিনের পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৪০)। তার আপন বড়ভাই সামছুল হকের সাথে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এক পর্যায় ০৮/০৭/২০২১ইং তারিখে সিরাজুল ইসলাম বাড়িতে না থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার বড়ভাই একই গ্রামের সামছুল হক ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম, মতিয়ার রহমান ওরুপে ঠান্ডা মাথা সহ তার পুত্র মাসুদুর রহমান মিলে লাঠিসোটা নিয়ে সিরাজুল ইসলামের ঘরের বেড়া, দরজা ভাংচুর শুরু করেন। ওই সময় সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বাধা দিলে হামলাকারীরা তার চুল ধরিয়া টানাহেচরা করে এবং চোখে-মুখে কিলঘুশিসহ ব্যাপক মারপিটের আঘাত সুফিয়া বেগমের সারা শরীরে ফুলা জখম হয়। এমনকি তার গলা চিপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করেন। ওই সময় সুফিয়া বেগমের আতœচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে চলে যান।
এলাকাবাসী গুরুত্বর আহত সফিয়া বেগমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। যার ভর্তি রেজিঃ নং-২৩১৮/৭৮, বেড নং-৫৩, তাং ০৮/০৭/২০২১ইং। এ ঘটনায় আহত সুফিয়া বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে তার আপন বড়ভাই সামছুল হক ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম, মতিয়ার রহমান ওরুপে ঠান্ডা মাথা সহ তার পুত্র মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সুফিয়া বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি বাহিরে কাজ করি। সারাদিন বাড়িতে থাকার সময় পাই না। বাড়িতে কোনকিছু হলে আমার বড়ভাই, তার স্ত্রী ও ছেলেরা মিলে আমার স্ত্রীকে মারপিট করেন। ইতিপুর্বে আরও ২ বার তারা আমার স্ত্রীকে মেরেছে। গ্রামের লোকজন বসে আপোষ মিমাংসা করে দিয়েছে। এবার আর গ্রামে মিমাংসা নয়, আমার স্ত্রীকে মারপিট ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ থানায় করেছি। আমি আইনের মাধ্যমে তার বিচার চাই।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি পারিপারিক তাই একটি পক্ষ বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছেন। মিমাংসা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।