জেসমিন সুলতানা।। ভালো থাকতে হলে হাসিখুশি থাকার চেয়ে সহজ উপায় আর হয়না। যিনি যতটা হাসিখুশি থাকবেন, দিন শেষে তিনি নিজেকে ততটাই সুখী হিসেবে আবিষ্কার করবেন। যেসব মানুষ বেশি হাসে তাদের হার্টের সমস্যা তুলনামূলক ভাবে খুব কম এবং যারা কম হাসেন তাদের হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া যারা বেশি হাসতে পারেন না তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও নানা রকমের সমস্যায় থাকেন। দীর্ঘদিন সুস্থ ও সুখী মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাইলে হাসিখুশি থাকার বিকল্প নেই। জেনে নিন হাসিখুশি থাকলে কী হয় :
একসঙ্গে অনেকে মিলে হাসাহাসি করলে শরীরের ভেতরে যে প্রাকৃতিক পেনকিলার রয়েছে, তার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবে যন্ত্রণার অনুভূতি কমতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতাও বাড়ে।
হাসি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনি যখন হাসেন তখন আপনার দেহের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং অক্সিজেন গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
কাজ যেমনই হয়ে থাকুক না কেন সেই কাজটিকে আনন্দের সাথে করার চেষ্টা করুন। কর্মক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপায়ে, দলবদ্ধভাবে ও মানসিক ভাবে শক্তি নিয়ে কাজ করতে হাসি খুশি থাকা খুবই জরুরি।
হাসি মানুষকে একে অপরকে কাছাকাছি রাখতে সাহায্য করে থাকে। যে কোন ধরণের রাগ দূর করতে সুন্দর একটি হাসির উপকারিতা অনেক বেশি। হাসি আপনার মনের সমস্ত দুশ্চিন্তা দূর করবে ও আপনাদের সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
আমাদের মস্তিষ্কের এনডোরফিন (হরমোন) নামের একটি কেমিক্যাল নিঃসরণ করে থাকে যা আমাদের দেহের ব্যথা দূর করে হাসি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি জরিপে দেখা গিয়েছে যে মানুষ যত বেশি হাসবে তার দেহের ব্যথা তত বেশি কমে।
হাসি দেহকে ক্যান্সার রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। আমেরিকার ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সেন্টারে ক্যান্সার রোগীদের হাসানোর জন্য বিশেষ থেরাপি দেয়া হয়ে থাকে। যা একজন ক্যান্সার রোগীর দেহের ব্যথা দূর করে ও মন ভালো রাখে।
মানসিক চাপ দূর করে হাসি। তাই যখনই যেমন অবস্থায় থাকুন না কেন মন ভালো রাখতে ও মানসিক চাপ দূরে রাখতে হাসুন।