ঢাকারবিবার , ২৮ আগস্ট ২০২২
  1. অপরাধ ও আদালত
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ডেস্ক
  5. কৃষি ও অর্থনীতি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য-প্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নির্বাচন
  11. বানিজ্য
  12. বিনোদন
  13. ভিডিও গ্যালারী
  14. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে হারবাল চিকিৎসার চেম্বার!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ২৮, ২০২২ ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের নিয়ম। কিন্তু কোয়ার্টারটি এখন ‘হারবাল চিকিৎসার চেম্বার’। এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টার, কক্সবাজারের সমন্বয় কর্মকর্তা ইউসুফ আলী। তিনি কক্সবাজার তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টারে তার জন্য বরাদ্দ কোয়ার্টারটি মাসিক ভিত্তিতে ‘মর্ডান হারবাল’ নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই কোয়াটারে শুধু তাঁত বোর্ডের কর্মচারীদের থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ভবনটি বসবাস অযোগ্য দেখিয়ে ‘মর্ডান হারবাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়ে মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রায় লাখ টাকা। ভবনটি বাইরে থেকে পরিত্যক্ত মনে হলেও ভেতরে বেশ পরিপাটি।

অভিযোগ রয়েছে, তাঁত বোর্ডের অফিসের সামনে খালি জায়গাতেও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এতেও সমন্বয় অফিসার ইউসুফ আলীর জড়িত। অবৈধভাবে স্টাফ কোয়ার্টার ও নির্মিত দোকান ভাড়া দিয়ে তিনি একাই আর্থিক ফায়দা নিচ্ছেন। আর ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বাইরে থাকেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এই কোয়ার্টারে নিয়মিত রোগী দেখেন ‘মর্ডান হারবাল’ প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরা। এ ছাড়াও সেখানে কিছু বহিরাগত লোক বাস করছেন। এরা প্রত্যেকেই ইউসুফ আলীর সঙ্গে মাসিক ভাড়ার চুক্তি করেছেন।

কোয়ার্টারে অবস্থিত ‘মর্ডান হারবাল’ সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী বলেন, প্রথমে চিনতে পারেনি এটা যে মর্ডান হারবাল চিকিৎসকের চেম্বার। এখানে একটি সাইনবোর্ড আছে; যেখানে লেখা আছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টার, কক্সবাজার। তবে ভেতরে চিকিৎসা দেওয়া হয় জেনেই এসেছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টার, কক্সবাজারের সমন্বয় অফিসার ইউসুফ আলী বলেন, সরকার এই কোয়ার্টারের জন্য আমার বেতন-ভাতা থেকে ১৭ হাজার টাকা কেটে নেয়। এই টাকা তুলতে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্যই কোয়ার্টার ভাড়া দিয়েছি।