ঢাকাশুক্রবার , ২৫ মার্চ ২০২২
  1. অপরাধ ও আদালত
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ডেস্ক
  5. কৃষি ও অর্থনীতি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য-প্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নির্বাচন
  11. বানিজ্য
  12. বিনোদন
  13. ভিডিও গ্যালারী
  14. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুন্দরগঞ্জে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণাংকার লুট!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মার্চ ২৫, ২০২২ ১১:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এম এ মাসুদ,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা);প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রান্নার তেল অথবা টিউবয়েলের পানিতে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে এক পরিবারের সবাইকে অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।


বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। এতে প্রায় ৫লাখ ১৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার ও কিছু লুট হয়েছে।

জানা যায়, ঘটনার আগের রাতে স্থানীয় বাজারেরর নিজ দোকান থেকে আনা খোলা ভোজ্যতেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রান্না করতে গিয়ে বোতলে সামান্য পরিমাণ তেল দেখতে পায় যা ভিন্ন রঙের। ওই তেলে রান্না করা খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে দূরবর্তী এক ফসলের জমিতে বড় আকারের একটি স্টিলের বাক্স দেখতে পায়। এটি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে আসে। বাড়ির ভিতরে বিভিন্ন কাপড়চোপড়, কাথা ও কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো দেখে বাড়ির লোকজনকে ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেলে দড়ি কাটা ও দরজা খোলা থাকায় তাদেরকে অচেতন অবস্থায় পায়। কিন্তু ডেকে তুললেও তারা চোখ খুলতে পারছিলেন না কেউ।

হাবিবুরের বড় ছেলে জিয়া জানান, কয়েকদিন আগে পাওয়ার প্লান্টের নিকট জমি বিক্রির টাকাসহ ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যাংক হিসাব না থাকায় বাক্সে রাখা ছিল। যা দিয়ে অন্য জমি কেনার প্রস্তুতি চলছিল। এছাড়া চার আনা সোনার দুল ও দলিলপত্র ছিল। কিন্তু চুরি হয়ে যাওয়ায় আজ আমাদের সর্বনাশ হয়েছে। হয়তো তেলে বা টিউবয়েলের পানিতে কেউ কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। রাতের খাবার ১৫-২০মিনিট পর আর কিছু বলতে পারি না।

হযরত আলী নামের একজন বলেন, ‘সকালে নদীর পাড়ে ফসলের মাঠে একটি বড় স্টিলের বাক্স দেখতে পাই। তখন এলাকার কয়েকজন বলে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে চুরি হয়েছে। তখন আমিসহ কয়েকজন মিলে ওই বাক্সটি তাদের বাড়িতে পৌছে দেই।’

চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য সুজন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। তখন ওই পরিবারের লোকজনকে অচেতন অবস্থায় পাই। তখন জানতে পারি রান্নার তেল বা পানিতে হয়তো চেতনা নাশক ওষুধ মেশানো হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। যেহেতু তারা দেখেনি তাই তাদেরকে থানায় অভিযোগ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’

থানার ওসি (তদন্ত) এমএ আজিজ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এম এ মাসুদ/প্রতিদিনের বিডি