রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।। দেশে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষণ। ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ যাচ্ছে না কন্যাশিশু ও বৃদ্ধ নারীরাও। এমনকি রেহাই পাচ্ছে না বয়স্ক বিধবা নারীরাও। আবার দেশের কোথাও না কোথাও হচ্ছে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ। এমনি এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়।
উপজেলায় ৫০ বছরের এক বিধবা নারীর হাত পা বেঁধে মুখে কাপড় বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
ধর্ষিতা নারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তিনি সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন। হঠাৎ পাঁচজন পুরুষ তার ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই নারীর মুখে কাপড় গুজে দিয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে পুকুর পাড়ে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ওই নারীর সন্তান রাতভর তার মাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও সন্ধান পায়নি। সকালে পুকুরের কাছে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীকে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান।
তিনি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে নির্যাতনকারী হিসেবে সাহেব, খুশু, খোরশেদ, আনোয়ারুল ও নান্টু নামে পাঁচ ব্যক্তির নাম বলেছেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সুন্দরগঞ্জে রাতের আঁধারে হাত-পা বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে এনে বিধবা নারীকে গণধর্ষণ: গ্রেফতার -১
এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নির্মাণাধীন তিস্তা সেতু এলাকার পাশ থেকে কঞ্চিবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ধর্ষক খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করেন। ধর্ষক খোরশেদ আলম উপজেলার কালিরখামার গ্রামের আঃ জলিলের ছেলে।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার জানান, সোমবার রাতেই এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে ১ জনকে গ্রেফতার করেছেন। বাকীদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হারুন-অর রশিদ জানান, রোগীর চিকিৎসা চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সব নিশ্চিত হওয়া যাবে।