মনজু হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার।। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সুপারি বাগবানে গরু যাওয়ায় ধারালো ছুরি দ্বারা পা কেটে ফেলার অভিযোগ। হয়ত ফাঁকা সুপারির বাগান চোখের সামনে পেয়ে লোভ সামলাতে না পেরে খেতে শুরু করেছিল নির্বোধ অবলা চার পায়া জন্তুটি। কিন্তু সেই খাওয়াটা যে তার জীবনে সামনের ডান পা হারাতে হবে কে জানত? গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই ) বিকেলে সুপারি গাছ খাওয়ার অপরাধে গরুর বাছুরটির একটি পা নির্মমভাবে ধারালো ছুরি দ্বারা কেটে ফেলার কারণে মোঃ গিয়াস উদ্দিন ওরফে গেসু ( ৫৫), মোঃ সফর উদ্দিন মোল্লা (৫০), উভয়ের পিতাঃ মৃতঃ আব্দুস সালাম, মোঃ সফিকুল ইসলাম (৩০) সর্বমোট তিনজনের বিরুদ্ধে বোদা থানায় গত রবিবার (২৫ জুলাই) অহিদুল ইসলাম বাদী হয় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই ) সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনার দিন বিকালে ওই গ্রামের অহিদুল ইসলাম এর একটি গাভীর বাচ্চা একই গ্রামের মৃতঃ আব্দুস সালাম এর পুত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন ওরফে গেসুর সুপারি গাছের চারা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাগানে প্রবেশ করলে গেসুর সহ তার ভাই ও ভাতিজা সেই বাছুরটিকে ধরে ফেলে। এরপর ছুরি দ্বারা বাছুরের পা কেটে ফেলে। এদিকে অহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন বাছুরটিকে খুজা খুজির এক পর্যায়ে অহিদুল এর ভাই মোঃ সিরাজুল ইসলাম উক্ত ঘটনাটি দেখলে জোরে চিৎকার করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আশা শুরু করলে। গেসু সহ তার ভাই ও ভাতিজা ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে এলাকাবাসী সংবাদ কর্মীদের ভিডিও ক্যামেরায় বলেন, তিন বছর পূর্বে মোঃ আব্দুর রফের ৫ মাসের একটি ছাগল, মোঃ মিরাজ আলীর দুইটি গরুর পা কেটে ফেলেন ওই গেসু, তার ভাই ও ভাতিজা। তিন বছর পূর্বে মোঃ আব্দুল কাদেরের একটি ছাগলের মেরুদন্ড ভেঙ্গেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
এবিষয়ে গরুর বাছুরের মালিক অহিদুল ইসলাম জানান, আমি একজন দিনমজুর। অনেক কষ্টে গরুর বাছুরটি বড় করেছি, আমি আমার গরুর বাছুরের পা কেটে ফেলার বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে অভিযোগ এর আসামী মোঃ গিয়াস উদ্দিন ওরফে গেসু গরুর বাছুরের পা কেটে ফেলার ঘটনা অস্বীকার করেন।
এদিকে পঞ্চগড় বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, আমরা গরুর বাছুরের পা কেটে ফেলার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ঘটনা প্রমাণিত হলে অবশ্যই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।