ঢাকাশনিবার , ৮ জুলাই ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জুলাই ৮, ২০২৩ ১০:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ:: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার শেফালী খাতুন (২২) নামের স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পন করেছে ঘাতক স্বামী মহসীন আলী (২৭) ।

শনিবার (৮ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় শেফালীর হাতে থাকা একটি চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ। মহসীন আলী (২৭) নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৪ বছর আগে মহসীন আলীর সাথে গাইবান্ধার মোল্লাপাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালী খাতুনের বিয়ে হয়। মহসীন আলী কোনো কাজকর্ম করতো না। পারিপারিব অস্বচ্ছলতার কারণে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর সাথে প্রায়ই ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকতো। পাশাপাশি শেফালীর কোনো সন্তান না হওয়ায় মহসীন ক্ষুদ্ধ ছিলো। এরই একপর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঝগড়া ঝাটির পর মহসীন আলী তার স্ত্রীর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে শেফালীকে খুন করে। পরে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করতে মরদেহ শয়ন কক্ষের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে মোহসীন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শেফালীর হাতে একটি চিরকুট ছিলো। এতে লেখা ছিলো- আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, কারো কোনো দোষ নেই। এরপর মোহসীন প্রতিবেশিদের জানিয়ে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাদুল্লাপুর থানায় আসেন। এসময় তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, এটি একটি খুনের ঘটনা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘাতক স্বামী অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলো। সে স্ত্রীকে চারিত্রিকভাবে সন্দেহ করতো। এছাড়াও স্ত্রী ‘কুফরী কালাম‘ করতো, যা তার পছন্দ ছিলো না। এসব কারণে সে স্ত্রীকে হত্যা করে। তবে পুরো ব্যাপারটিকে আরও ব্যাপকভাবে তদন্ত করা হবে।

এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ওই চিরকুটটি মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের উপর থেকে সন্দেহ সরাতে সে ওই কাজটি করেন। পুলিশ ব্যাপারটি আরও খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন