ঢাকারবিবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • অন্যান্য
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হিমহিম ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশায় নাকাল লালমনিবাসী, লাগামহীন শীত বস্ত্রের দাম!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ১৩, ২০২০ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হিমালয়ের পাদদেশের জেলা লালামনিরহাট। প্রতি বছরের ন্যায় অনান্য জেলার তুলনায় শীত আগে আসলেও যাবে সবার পরে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শৈত্য প্রবাহের কারণে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম) পৌরসভার ৪শত ৭৬টি গ্রাম ও ৩শত ৫৪টি মৌজার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হওয়ায় কার্তিক মাস থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশার সঙ্গে তীব্র হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার কারণে রাতের বেলায় সড়কে লাইট জ্বালিয়ে সাধারণ জনগণ চলাচল করতে দেখা মেলে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাতে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শীতে তিস্তা, ধরলা, মালদহ, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীগুলোর তীরবর্তী এলাকার চর ও দ্বীপ চরের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। বেশি ঠান্ডা পড়ায় এখানকার মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বৃদ্ধ ও শিশুরা শীতে সবচেয়ে বেশী কষ্ট পাচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিশেষ করে রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী ছিন্নমুল মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পোহাচ্ছে পাশাপাশি সরেজমিনে দেখা গেছে লালামনিরহাটের আদিতমাড়ি উপজেলার ভেলাবাড়ি,সটিবাড়ি,সাপ্টিবাড়ি এলাকার মানুষ শীত বস্ত্রের দাম বেশি হওয়ায় কোনরখমে শীত নিবারন করছে। অনেকের অভিযোগ রয়েছে জেলাপ্রশাসন কর্তৃক অনেক কম্বল বিতরন করা হলেও পায়নি তারা।

এদিকে লালামনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের দক্ষিন হাড়িভাঙ্গা (চিনির দিঘী গ্রামের) ৯২ বছরের বৃদ্ধ হাজের আলী হাড়কাপানো শীতে জরাজীর্ন রেইন কোর্টেই শীত নিবারন করছে। এছাড়াও একোই গ্রামের রাজমিস্ত্রি যিনি কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরন করেছেন কামাল আলী (৫৫) নামের ওই ব্যাক্তি আক্ষেপ করে বলেন কোটে কার কম্বল কোটে যায় হামরা তাক কবার না পাই। আনোয়ার আলী (৫৫) পাশেই সন্ধা বেলা হাড়কাপানো এই শীতে গেন্জি ও একটি শার্টে শীত নিবারন করছেন, এ প্রতিবেদকদের দেখে তিনি সহ আরো অনেকে একটি করে কম্বল পেতে নাম প্রতিবেদককে নাম দেবার জন্য মুহুর্তে শীতার্ত মানুষের ভীর জমে যায়। শীতার্ত মানুষগুলো এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য তাকিয়ে আছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও বিত্তবান লোকদের দিকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারী, পুরুষ, শিশু ডায়রিয়া নিউমোনিয়ায় ও হাপানি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

এদিকে হরেক রকমের শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে বসেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তবে করোনাকালীন সময় হওয়ায় অনান্য বছরের মতো এবছর বিভিন্য দেশ থেকে প্রতি বছরের ন্যায় পুরাতন শীতবস্ত্র না আসায় তাই শীত বস্ত্রের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে আকাশচুম্বী। লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়, রেলওয়ে স্টেশন, জজ কোর্ট, বিডিআর গেট এলাকায় বসেছে শতাধিকের বেশি অস্থায়ী দোকান। তবে এ সকল দোকানেও শীতবস্ত্রের দাম বেশি হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষেরা শীতবস্ত্র কিনতে পারছেনা।

অপরদিকে রোটারী ক্লাব অব লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন সংগঠন গত কয়েক দিনে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে। তবে পান্তিক জনগোষ্ঠীর দাবি সরকারি ভাবে যে সকল শীত বস্ত্র বিতরন করা হয় সেটা যারা পাবার যোগ্য তারা যেন বঞ্চিত না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন