ঢাকাবুধবার , ২০ জুলাই ২০২২
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কোনো ধরনের জ্বালানির দাম বাড়ানো চলবে না: বাম ঐক্য

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জুলাই ২০, ২০২২ ৪:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক | গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ কোনো ধরনের জ্বালানির দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।

বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ায় গত ৭ জুলাই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। আমাদের প্রশ্ন, বিশ্ববাজারে যখন দাম কমে, তখন কি মন্ত্রীরা কমানোর ইঙ্গিত দেন? বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লেই তারা বাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে যান, এটা ঠিক না। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ কোনো ধরনের জ্বালানির দাম বাড়ানো চলবে না।

তারা বলেন, গত নভেম্বরে যখন তেলের দাম বাড়ানো হয়, এর ২০ দিনের মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করে। গত আট বছরে ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধের পরও বিপিসি নিট মুনাফা ৪৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা। বিপিসি প্রতিদিন লোকসানের যে হিসাব দেয় তাতেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি ও লুটপাট। লুটপাটের কথা শুধু আমরা বলছি না, আইএমএফ বাংলাদেশ সরকারকে বারবার চাপ দিচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিপিসির অডিট করানোর জন্য।

তারা আরও বলেন, গত এক যুগে সরকার শিল্প, বাণিজ্য ও আবাসিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১৮ বার। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তি ছিল উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, আমদানি শুল্ক কার্যকর, কয়লা ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি। আমাদের বিকল্প প্রস্তাব, গত এক দশকে কুইক রেন্টালের নামে ৭০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এই লুটপাট বন্ধ করুন। কয়লায় ভ্যাট প্রত্যাহার করুন, বেসরকারি খাতের বদলে সরকারিভাবে তেল আমদানি করুন, দেশীয় উৎস থেকে প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়, দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস সংগ্রহ করুন।

‘আমরা মাঝে মাঝে শুনি পেট্রোবাংলা বলেন- আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে, তাই গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে, দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু এ কথা সঠিক নয়। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন তিন হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে বিতরণ কোম্পানিগুলো, তার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ ঘনফুট গ্যাস দেশীয় উৎস থেকে সরবরাহ করা হয়। বাকি ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলপিজি গ্যাস আমদানি করা হয়। বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রত্যেকটি মুনাফায় রয়েছে এবং গ্যাস খাতের সব সংস্থার কাছে ১২ হাজার কোটি টাকা জমা আছে। তাই আমরা মনে করি, গ্যাসের দাম বাড়ানো পায়তারা বন্ধ করা উচিত। বাজারে চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ ও শাকসবজি থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই যার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না।

বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, মানুষের আয় যে হারে বেড়েছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। কারণ একটাই, তা হচ্ছে বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। হাস্যকর বিষয় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে এবার বাংলাদেশে উৎপাদিত আলু, পটল, গাজর, শসাসহ সব সবজির দাম বাড়ানো হয়েছে। মনে হয়েছিল- এগুলোও রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে আমদানি করা হয়। তাই আমরা প্রস্তাব করছি অসাধু মন্ত্রী, আমলা ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দাও।

শিক্ষকদের ওপর হামলা, সাম্প্রদায়িক হামলা ও বাংলাদেশের রাজধানীতে বিদেশি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এসব বিষয়েও যেন আর না হয় সেটিও দাবি করেন তারা।

এ সময় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খানসহ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন