ঢাকাবুধবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩ ৬:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের একাউন্টেন্ট ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। সুন্দরগঞ্জে ঘাট ইজারা প্রদানের কথা বলে এই অর্থ আত্মসাত করেন তিনি।
Add 99998
এ ঘটনায় সম্প্রতি প্রদানকৃত টাকা উদ্ধারসহ ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের চরচরিতাবাড়ি গ্রামের ছহির উদ্দিনের ছেলে ভুক্তভোগী হারুন মিয়া। ইসমাইল হোসেন সহকারি হিসাব রক্ষক থেকে সদ্য পদন্নতি পেয়ে জেলা পরিষদে হিসাব রক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী হারুন মিয়া উপজেলার ভেরামারা লটঘাট, বেলকাঘাট (বাঘমারা ফারী পশ্চিমপাড় সাদু হতে কানি চরিত্রাবাড়ী ঘাট) এর ২০১৭-২০১৮ ইং অর্থ বছরের একজন ঘাট ইজারাদার। ইজারাদির প্রয়োজনে জেলা পরিষদে আসা যাওয়ার সুবাদে জেলা পরিষদের সহকারি হিসাব রক্ষক (তৎকালীন) ইসমাইলের হোসেনের সাথে তার পরিচয় হয়।

পরবর্তীতে ২০১৮-২০১৯ ইং অর্থবৎসরে ওই ঘাট আবারো পেতে ব্যর্থ হলে ইসমাইল হোসেন ঘাট পাইয়ে দেওয়ার জন্য হারুনকে আশ্বস্ত করেন। পরে ইসমাইল তার অফিসে ডেকে নিয়ে সরকারিভাবে উক্ত ঘাটের বাৎসরিক ইজারা মূল্য- ৫,৯০,০০০/- (পাঁচলক্ষ নব্বই হাজার) টাকা নির্ধারণ হয়েছে মর্মে আমাকে তাকে জানান। তখন হারুন অফিস খরচসহ ইসমাইলকে সর্বমোট= ৬,২৮,০০০/- (ছয় লক্ষ আটাশ হাজার) টাকা প্রদান করলে উক্ত ঘাটের ইজারাদার নিযুক্ত করবেন এবং ইজারার বিষয়াদী নিয়ে জেলা পরিষদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ চেয়ারম্যানের (তৎকালীন) সাথে আলোচনা হয়েছে বলে জানান।

পরে হারুন তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ২০২০ সালের ৫ মে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ইসমাইল হোসেনকে নগদ ৩,৪০,০০০/- (তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা এবং একই বছরের ২০ মে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকাসহ সরকারি ইজারা মূল্যের ৫,৯০,০০০/- (পাঁচলক্ষ নব্বই হাজার) টাকা প্রদান করেন। পরে হারুনকে ওই ঘাটের ইজারাদার নিযুক্ত করে একই বছরের ২৯ মে জেলা পরিধন গাইবান্ধার জেপ/ গাই /৬২৯/১(১০স্মারক নং-) মূলে খাস কালেকশনের অনুমতি সম্বলিত একটি অফিস আদেশ প্রদান করেন। এ বিষয়ে হারুন আপত্তি করলে ইসমাইল ২/৩ মাস পরে হারুনকে ইজারাদার নিযুক্তের অফিস আদেশ প্রদান করবেন মর্মে জানান।

এরপর মাস সময় অতিবাহিত হলে হারুন মোঃ ইসমাইল সাথে উক্ত ঘাটের ইজারাদার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি রুপালী ব্যাংক লিমিটেড, গাইবান্ধা শাখায় জমাকৃত ৩৯,৬৭০/- (ঊনচল্লিশ হাজার ছয়শত সত্তর) টাকার একটি ব্যাংক জমার স্লিপ হারুনকে প্রদান করে ইজারাদার নিয়োগ সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণ করার জন্য বলেন। পরবর্তীতে যথানিয়মে উক্ত ঘাটের ইজারাদার নিয়োগ সংক্রান্ত টেন্ডার নোটিশ জারী হলে হারুন জারীকৃত টেন্ডার নোটিশ এর বিষয়ে মোঃ ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে উক্ত ঘাটের ইজারাদার নিয়োগ করে নিবেন মর্মে মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেন।

পরে জারীকৃত টেন্ডারে উক্তঘাট অন্য ব্যক্তি ইজারাদার নিযুক্ত হলে হারুন তার প্রদানকৃত টাকা ফেরৎ চাইলে তিনি আজ-কাল করে টালবাহানাসহ কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিকট বিচার দিলে মোঃ ইসমাইল হোসেন ২০২০ সালের ১ অক্টোবর নগদ ২,৩৫,০০০/- (দুই লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা ফেরৎ প্রদান করেন এবং অবশিষ্ট টাকা স্বল্প সময়ের মধ্যে ফেরৎ প্রদান করবেন মর্মে জানান। পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে হারুন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে রিং করে তার নিকট প্রদানকৃত টাকা ফেরৎ চাইলে মোঃ ইসমাইল হোসেন হারুনের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরনসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করেন। পরে বাধ্য হয়ে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন হারুন। এছাড়া হারুনের সাথে ইসমাইলের বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথোনের মোবাইল ভয়েস রেকর্ড এবং ভিডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন